U.S. President Barack Obama and India's PM Narendra Modi end their meeting at the White House in Washingtonঢাকা :: তিন দিনের সফরে রোববার সস্ত্রীক ভারত এসে পেঁৗছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে স্ত্রী মিশেল ওবামাকে সঙ্গে নিয়ে বিমান থেকে নেমে তিনি সৌজন্য বিনিময় করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
ওবামার সফরকে ঘিরে বাংলাদেশের দৃষ্টিও এখন নয়াদিলি্লর দিকে। ভারত কী পাচ্ছে ওয়াশিংটন থেকে বা ওয়াশিংটন দিলি্ল্লথেকে কী নিয়ে যাচ্ছে_ এমন চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যে বাড়ছে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও।
মোদি-ওবামার বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা থাকায় ওবামা চলে গেলে নয়াদিলি্ল্লঢাকার প্রতি কী মনোভাব দেখায় সেটিও ভাববার বিষয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এর আগে ২০১০ সালে ভারত সফর করেছিলেন। আর এ সফরের মধ্য দিয়ে তিনি হতে যাচ্ছেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন দু’বার ভারত সফর করলেন। ফলে ভারতের জন্য এ ধরনের ঘটনা ঐতিহাসিক হতে চলায় সর্বত্র খুশির বন্যা বয়ে গেলেও প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে চলছে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতা। অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে দেশের কোথাও না কোথাও সহিংসতা চলমান রয়েছে।
সূত্রমতে, দেশের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানামুখী দুশ্চিন্তায় থাকলেও বিশ্লেষক এবং বিশেষজ্ঞরা চোখ রাখছেন নয়াদিলি্লর দিকে। তারা বলছেন, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসীন হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দ্বিতীয়বার দিলি্ল্লসফর করছেন যা এশিয়ার রাজনীতির জন্য নতুন বার্তা বয়ে আনতে যাচ্ছে।
আমেরিকায় দায়িত্ব পালন করা ঢাকার সাবেক এক কূটনীতিক বলেন, চীন নতুন করে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে । চীনা প্রেসিডেন্ট ভারত সফরের পাশাপাশি মালদ্বীপ এবং শ্রীলংকাও সফর করেছেন। তার পাকিস্তান যাওয়ারও কথা ছিল। পাকিস্তানি রাজনীতি তখন এলোমেলো ছিল বিধায় তিনি সেখানে যাননি। কিন্তু চীন পাকিস্তান বন্ধুত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও চীন সফর করে এসেছেন। ব্রিকস ব্যাংক নিয়ে বাংলাদেশেরও আগ্রহ রয়েছে। কারণ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ নিয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাও কম নয়। এছাড়াও চীন মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার মতো বাংলাদেশে বিনিয়োগে প্রচ- আগ্রহী। ফলে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সার্বিক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই শক্তিধর আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে ‘দূরত্ব’ কমে এলে এর দ্বারা উপকৃত হবে দক্ষিণ এশিয়া। মার্কিন সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের মনোভাবেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা তাদের।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here