রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিসত্মার, পদ বঞ্চিত হওয়া ও অভ্যনত্মরীণ কোন্দলের জের ধরে নিজ দলের কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করেছে অপর ছাত্রলীগ কর্মী। রবিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় নেতাকর্মীর সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ ক্যাডার খালেদ হাসান নয়নের অবস্থা আশংকাজনক। পরে পুলিশ হলে তল্লাশী চালিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিপুল দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি শানত্ম রাখতে হলে হলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর হল প্রস্তুত কমিটি গঠিত হয়। কমিটিতে নতুন নতুন ছাত্রলীগ কর্মী কমিটিতে স্থান পেলেও ক্যাম্পাসের ডন নামে খ্যাত ছাত্রলীগ ক্যাডার খালেদ হাসান নয়নের নাম না থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আহ্বায়ক মুহা: সেলিম হোসেনের রুমে গিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ ঘটনা সেলিম গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে রাত ১২ টার দিকে সেলিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা নয়নের রুমে খুজতে যায়। এ সময় তাকে রুমে পেয়ে সেলিম গ্রুপের কর্মীরা চাপাতি, রামদা, চাকু, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপাতে থাকে। এ সময় নয়নের রুমে অবস্থানরত ছাত্রলীগ ক্যাডার সালাম ওরফে বাইট্টা সালাম অবস্থা বেগতিক দেখে ৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। অনত্মত ১ ঘন্টা যাবৎ এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় খালেদ হাসান নয়ন (ব্যবস্থাপনা) সালাম ওরফে বাইট্টা সালাম (ব্যবস্থাপনা) ও মুহা: সেলিম হোসেন (সমাজকর্ম) সহ উভয় গ্রুপের ৫ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে নয়নের অবস্থা আশংকাজনক। পরে হলের বিভিন্ন রুমে খুজে সালামকে গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ। সংঘর্ষের সময় হল প্রভোষ্ট এস এ হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, মতিহার থানার ওসি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শানত্ম করে।
এ ব্যাপারে রাবি শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। অপর দিকে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। নয়নকে মেডিকেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট প্রফেসর এস এ হায়দার বলেন, “বতমানে হলের পরিস্থিতি শানত্ম রয়েছে। আশা করছি আর কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটবে না”।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর হেসেন বলেন, ওই আবাসিক হল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত এক ছাত্রলীগ ক্যাডারকে আটক করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর প্রফেসর চৌধুরী মোঃ জাকারিয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যে দলেরই হোক না কেন তার ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে”।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/রিয়াদ/রাবি