জুনায়েদ ইসলাম :: বলা হয় বর্তমান শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ।
এই বিশাল সংখ্যক শিশুর ভবিষ্যৎ গঠনের চাই সুস্থ ও মেধা সম্পন্ন শারিরীক ও মানসিক গঠন । কিন্তু বর্তমান সময়ে শিশুদের নিয়ে একটা সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তা আমাদের সবার জানা স্মার্টফোন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাহিরের দেশের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে ৫৬ শতাংশ শিশু স্মার্টফোনের ব্যবহার করে। আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২ থেকে ৬ বছর বয়সের বাচ্চাদের মাঝে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার প্রায় ২৫ শতাংশ যাদের অধিকাংশ মানসিক সমস্যায় ভোগেন। অথচ নিয়মিত শিশুরা ঝুঁকে পরছে ব্যাপক হারে। আর এই সমস্যা নিয়ে শিশুর বাবা মা হতাশ হয়ে পরেন, যেমন দেখাযায় স্মার্টফোন ছাড়া শিশুরা খাচ্ছেই না, সারাদিন কার্টুন দেখছে, অন্য শিশুদের সাথে মিশছে না, নতুন কাউকে দেখলে ভয় পেয়ে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ কারণ খুঁজতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় এই সমস্যা জন্য বাবা মায়ের সচেতনতার অভাব।
কেননা সামান্য আবদারে শিশুর হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে স্মার্টফোন। কিন্তু একটু সচেতন হলেই দেয়া যেতে রঙ পেন্সিল, যা শিশুর মেধা বিকাশে সহায়ক হতো। কিন্তু দেয়া হয়েছে স্মার্টফোন যা কঠিন মানসিক সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে শিশুদের ভবিষ্যৎ। এর থেকে উত্তোলনের পথ খোঁজা জরুরী,
যেহেতু সমস্যা আমাদের সৃষ্ট সমাধান আমাদের করতে হবে। কারণ আগামীর ভবিষ্যৎ শিশুদের আমরা সমস্যায় জর্জরিত রাখতে পারিনা।
তাই স্মার্টফোনের বদলে রঙ পেন্সিল তুলে দিতে পারলে তা হবে দারুণ উপায়। রঙ পেন্সিল পেইন্টিং চর্চা সৃজনশীল চিন্তার বিকাশ ঘটায়। যা আপনার শিশুর আঁকাআকি মধ্যে সম্ভব, যেমন সে গাছ আঁকছে শিখছে সে কি আঁকছে তাই খেলাধুলার পাশাপাশি আঁকাআকিতে আগ্রহ করে তুলুন। যাতে তার মেধার বিকাশে ঘাটতি না থাকে।
তাহলে দেখা যাবে শিশুর সমস্যা থেকে মুক্ত পাওয়া সম্ভব এবং অন্য বাচ্চাদের থেকে আরো চিন্তাশীল ও দক্ষ মানুষ হয়ে উঠবে। তাই শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয় রঙ পেন্সিল তুলে দিন।
পালং সদর, শরীয়তপুর। juneadfahim@gmail.com