বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক থেকে :: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশ টেলিভশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও লেখক লুৎফুন নাহার লতা’র ‘জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ’ নামক প্রকাশিত বই নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত শনিবার নিউ ইয়র্কের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সমকালীন পাঠচক্র ও কুইন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরির নিউ আমেরিকানস প্রোগ্রাম এর যৌথ আয়োজনে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
কুইন্স লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ বইয়ের এ আলোচনায় অংশ নেন প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, জনপ্রিয় ব্লগার ও লেখক কুলদা রায়, কবি শামস আল মমিন, কবি ও সাহিত্যিক নাজনীন সাইমন, নারী পত্রিকার সম্পাদক পপি চৌধুরী, সাংবাদিক লেখক ফাহিম রেজা নূর, শিক্ষক মার্ক ওয়াইনবার্গ এবং লেখক ও গবেষক আহমদ মাজহার।
লতা’র নিজের দেখা চারিপাশের মানুষের জীবন নিয়ে লেখা গল্প গুলোই জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ। দশটি গল্পের শেষ গল্প জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ সহ যে গল্পগুলো এই বইয়ে স্থান পাই তা হলো দ্যা ফিউজিটিভ, উকুন, সুদূর রাতের গান, গল্লামারী ব্রিজের নীচে, কঙ্কনা, অন্তর্গত আর্তনাদ, ফেরারী, একটি হত্যাকান্ড ও লাল গোলাপ এবং রেইপ কেস। লুতফুন নাহার লতা তার শিল্পিত সুষমায় একান্ত নিজস্ব সাবলীল অভিনয় শৈলী দিয়ে লিখেছেন বাস্তব মানুষের জীবন চরিত্র।
সমকালীন সাহিত্য আসরের শুরুতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম পরিচালক মাহফুজা আহমেদ সকলকে স্বাগত জানান ও পরিচয় করিয়ে দেন লুতফুন নাহার লতার সাথেI মাহফুজা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম ও কুইন্স লাইব্রেরির সাথে যৌথ উদ্যোগে যে বই আলোচনার প্রোগ্রামগুলো হবে সে সম্পর্কেও উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।
মাহফুজা আহমেদ এর পর কুইন্স লাইব্রেরির পক্ষে সকলকে স্বাগত জানান নিউ আমেরিকানস প্রোগ্রাম’এর পরিচালক সেলিনা শারমিন। সেলিনা শারমিন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহফুজা আহমেদ, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও লেখক লুতফুন নাহার লতা, এবং উপস্থিত সকল আলোচক ও অংশগ্রহণকারী শ্রোতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় এই ধরণের বই পাঠের আয়োজন আগামীতেও করবেন। সেলিনা শারমিন কুইন্স লাইব্রেরির পক্ষ থেকে লুতফুন নাহার লতাকে এক তোড়া ফুল দিয়ে অভিনন্দিত করেন। আলোচকদের সকলেই জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ এর সবগুলো গল্প ও গল্পের মূল চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, লুতফুন নাহার লতা তার চারপাশের চলমান ঘটনা নিখুঁত ভাবে দেখেছেন ও তার সঠিক প্রতিচ্ছবি সাবলীলভাবে তার লেখায় তুলে ধরেছেন। আলোচকগণ লতা’র গল্পগুলোর আলোচনা করবার সময় বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তারা সকলেই জীবন ও যুদ্ধের কোলাজ’এর দশটি গল্পই উপভোগ করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে লতা তার বই থেকে দুটি গল্প সকলকে পড়ে শোনান। উপস্থিত শ্রোতারা মুগধ হয়ে শুনেছেন তার গল্প পাঠ ও পরিবেশনা। বিকেল আড়াইটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত চলে সমকালীন পাঠচক্রের আসর।
অনুষ্ঠান শেষে মাহফুজা আহমেদ ও সেলিনা শারমিন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও কুইন্স লাইব্রেরির পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানান ও আগামী ১৬ই ডিসেম্বর সমকালীন সাহিত্য পাঠের পরবর্তী আসরে আসবার আমন্ত্রণ জানানI আগামী আসরে কবি হাসান আল আব্দুল্লাহ’র বই আলোচিত হবে বলে তারা জানান।