লালমনিরহাট: হঠাৎ করে শীতের কামড়ে লালমনিরহাটে জনজীবন, ক্ষেত-খামার ও প্রাণিজগতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শিশির বিন্দুর মতো ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডায় প্রকৃতির সব কিছুতেই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা আরও ২ দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে বিতরণের জন্য লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ ভান্ডারের গোডাউনে কোনো কম্বল নেই। জরুরী ভিত্তিতে আরও কম্বল চেয়ে ঢাকায় ফ্যাক্সবার্তা পাঠানো হয়েছে। তাও এখনও পাওয়া যায়নি। শীত জনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এই জেলার সরকারী হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জানান, মঙ্গলবার সকালে রংপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে লালমনিরহাটসহ রংপুর অঞ্চলে শীত ও ঘন কুয়াশার পরিমাণ বেড়েছে। কনকনে বাতাসের সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে। শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুর অবস্থাও কাহিল হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ঈদ্রিস আলী জানান, জেলার ৫ উপজেলায় ছিন্নমুল মানুষের জন্য মাঝে কম্বল বিতরণ চলছে। আরও বরাদ্দ এলে আবার বিতরণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here