ডেস্ক রিপোর্ট:: ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জমির উদ্দিন সরকারের পক্ষে তার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া সোনালী ব্যাংকের হাইকোর্ট শাখায় এ টাকা জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি ঢাকা পোস্টকে জানান, প্রথমে জরিমানা খাতে আমাদের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বলা হলেও পরে তা সংশোধন করে অন্যান্য আদায় খাত করা হয়েছে। আমরা আজ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অন্যান্য আদায় খাতে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জমা দিয়েছি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় গত ৬ মার্চ এ জরিমানার আদেশ দেন।
জানা যায়, জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতার বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে একটি মামলায় জমির উদ্দিনকে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানা অর্থ সরকারি কোষাগারে জরিমানা হিসাবে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় জরিমানার টাকা জমা দিলে বাকী চার মামলা থেকেও তিনি অব্যাহতি পাবেন বলে বিচারক আদেশ উল্লেখ করেন।
এসব মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন (প্রয়াত), জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী (প্রয়াত) ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন।