জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার সকাল ৬টা থেকে লক্ষ্মীপুরে চলছে লকডাউন। লকডাউনের এ সময়ে অসহায় ও নিম্নআয়ের লোকজনের জন্য সবজি (মিষ্টি কুমড়া, শশা, গাজর, কাঁচা মরিচ, টমেটো, সসিন্দা ও বেগুন) বাড়ি বাড়ি নিয়ে ফ্রি বিতরণ করছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু। নিম্ন আয়ের লোকজনকে নিজ হাতে প্রয়োজন মতো এসব পণ্য বিতরণ করেন তিনি।
সোমবার সকাল থেকে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে এসব পণ্য নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি হাজির হন সালাহ উদ্দিন টিপু।
এর আগে করোনা পরিস্থিতিতে যারা অভাবের মধ্যে থেকেও ত্রাণের জন্য হাত পাতেন না, সাহায্যের আশায় লাইনেও দাঁড়ান না। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ। ভ্যানে করে অর্ধেক মূল্যে তাদের কাছে নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকানে এই সেবা দিচ্ছে জেলা যুবলীগ। লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ এ দোকান চালু করেন। ওয়ার্ডভিত্তিক যুবলীগ নেতারা এসব দোকান পরিচালনা করছেন।
যুবলীগের অর্ধেক দামের ভ্রাম্যমাণ দোকানে মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতা বেশি, নিন্ম আয়ের লোকজনকেও দেখা গেছে পণ্য ক্রয় করতে। ওই দোকানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার মূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। ওই দোকান বাড়ি বাড়িও যাচ্ছে। এতে অনেকের মধ্যেই স্বস্তি ফিরেছে।
লক্ষ্মীপুরে জনপ্রিয় এ চেয়ারম্যান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাতের আঁধারে অসহায়দের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বাসিন্দাদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করছেন। হাটে বাজারে-মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছেন।
স্থানীয় কয়েক জন জানান, তারা এতো দিন বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেক দামে যুবলীগের ভ্যান থেকে খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করেছেন। এখন চেয়ারম্যান টিপু তাদেরকে বিনামূল্যে সবজি দিচ্ছে। আজ চেয়ারম্যান টিপুর ভ্যান থেকে ফ্রি সবজি পেলেন তারা।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দিনমজুর অসহায় ও নিম্নআয়ের লোকজন অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা ভেবেই ভ্যানে করে সবজি নিয়ে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছি। এ ছাড়া খাদ্যসামগ্রী সহায়তা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন লজ্জার কারণে গ্রহণ করেন না। তাদের কথা বিবেচনা করে বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করার উদ্যোগ গ্রহণ করি।