ষ্টাফ রিপোর্টার :: মিটেফোর্ড হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে খোরশেদ আলম (২২) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে ফাঁসি ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রুহুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- দুলাল, শরিফ মাহমুদ, বিল্লাল, আমজাদ ও বুলবুল।
এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে পাগলা সুমন, সালাউদ্দিন ও জাবেদ মিয়া। দণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন আদালত।
হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় সাত আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে দুলাল ওরফে আনু ও বেলাল রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি সবাই পলাতক বলে মামলার আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২২ মে রাত সাড়ে ৮টায় মিডফোর্ড হাসপাতালের কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তার ছেলে খোরশেদ আলমকে হাসপাতালের পেছনে গুরুতর জখম অবস্থায় দেখতে পান।
পরে উদ্ধার করে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কর্মচারীদের দ্বন্দের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নামে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালে ৫ জুলাই আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।