জুঁই জেসমিন
জুঁই জেসমিন
জুঁই জেসমিন :: ভারি প্রশ্ন একজন ছেলে সন্ত্রাসী কেন হয়, কেন সে খুনি হয়? কেন মাদকাসক্ত হয়? গেং কালচারের গ্রুপ লিডার কে বা কারা?
ভাবা জরুরী – যেখানে ভুটান পৃথিবীর সর্বপ্রথম ধুমপান মুক্ত দেশ সেখানে আমাদের বাংলাদেশে অলিতে গলিতে ইয়াবা, আফিং, গাজার গুপ্ত মেলা, পুরুষদের হাতে হাতে সিগারেট। যেখানে ভুটানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূল সম্পদ যুবসম্প্রদায়কে বাঁচানো – সেখানে বাংলাদেশের ঢের সংখ্যক যুবকের নেশা ও পেশা মাদক দ্রব্য। এই পর্ণগ্রফী জন্য যুব সম্প্রদায় ধ্বংস লীলায় তলিয়ে যাচ্ছে এভাবে।
খারাপ কিন্তু কেউই হতে চায়না, পাপীরাও পাপকে ঘৃণা করে, তা জানা সত্তেও কেন কি কারণে ভয়ংকর হয়ে উঠে সন্ত্রাসী নামে ওরা?
নয়ন বন্ড সন্ত্রাস হয়ে উঠেছিলো কেন, কি কারণে? জানা প্রয়োজন। রিফাত হত্যার ভাইরাল হওয়া ভিডিও গুলো যারা দেখেছেন, এতে কী মনে হয় আপনাদের? দু’ দুটো জীবন নষ্টের জন্য কে মূলত দায়ী? আমি নারী হয়ে বলছি নারীরা একরূপী শুধু না, বহুরূপীও। আর এই বহুরূপী নারীরাই সমাজে ভয়ংকর ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো নারী একটা ভাল কিছু সৃষ্টি করলে আমরা গর্ব করে বলি – বাহ! সে যা করেছে তা নারী জাতির অহংকার।
আর আজ মিন্নি দু দুটো পুরুষের জীবন শেষ করে বসলো। মিন্নির জন্য পুরো নারী জাতি কলঙ্কিত। সত্যিই চরম লজ্জাজনক! প্রশাসন, ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ গুলো দেখা সত্তেও এবং কি স্থানীয় মানুষদের কাছে তথ্য সংগ্রহ করার পরেও যদি মূল আসামীকে ছেড়ে দেয় উপযুক্ত বিচার ছাড়া, তাহলে হাজার মিন্নি বুক ফুলে হেসে জন্ম নিবে যুবসমাজ তথা দেশকে কলঙ্কিত করার জন্য। নয়ন ও রিফাত শরীফের মতো হাজারো প্রাণ এভাবেই ঝরে যাবে। দিনের পর দিন এমন নারীদের চাহিদার শেষ নেই, বিয়ে করা, ডিভোর্স দেওয়া, বিয়ের পরেও অন্য পুরুষের সাথে পরকীয়া করা এসব নিত্য স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
বরগুনার এই মিন্নি, রিফাত শরীফকে বিয়ে করা সত্তেও নয়ন বন্ডের সাথে জমাট বাঁধা নিবিড় সম্পর্ক রেখেছিল এবং কি ঘটনার আগের দিনও নয়ন বন্ডের সাথে দেখা করে মিন্নি। বিয়ের আগে তার সাথে কি সম্পর্ক ছিলো তা নিয়ে কিছু টানছিনা – বিয়ের পরে সে কেন তুমুল সমর্পক রাখে নয়নের সাথে ? ভিডিও ফুটেজে যা দেখা যাই পুরো ঘটনাটা পরিকল্পনা মাফিক ঘটানো হয়েছে।
প্রথমত মিন্নির চোখে মুখে অস্থির ভাবনা কাজ করছিল, কারো জন্য অপেক্ষা, কখন আসবে ওরা। কাদের জন্য অপেক্ষা? রিফাত শরীফ গাড়িতে উঠতে বললেও সে উঠেনি বরং আড়ালে গিয়ে ফোনে কথা বলে, আর যখন শেষমেশ নয়ন বন্ডেরা রিফাতকে ধরে টেনে নিয়ে কোপাতে শুরু করে মিন্নি দ্রুত ছুটে না গিয়ে স্বাভাবিক ভাবে হেটে গেছে ঘটনা স্থলে, একরকম বৈশাখী ঝড়ো নৃত্য দিয়েছে রক্তাক্ত প্রান্তরে স্বামীকে বাঁচানোর নামে।
সবার প্রশ্ন মিন্নি বিন্দু মাত্র রক্তাক্ত ক্ষত আহত হলোনা কেন? স্বামীকে জাপটে না ধরে নয়ন বন্ডকে একাধিক যাপটে ধরার অর্থ কি? না ছিলো চিৎকার, আকুতি মিনতি, আর্তনাদ? মিন্নি পারতো নাকি রিফাতকে জড়িয়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষার চিৎকার করতে? তা না করে সে তার ব্যাগ জুতো কোথায় – তা খুঁজাখুঁজি নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। স্বামীর অবস্থা কি হলো, রক্তাক্ত অবস্থায় কোথায় গেল? এ নিয়ে বিন্দু মাত্র ভাবনা ছিলোনা।
রিফাত আহত অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে আড়াল হয়, বাইরের মানুষ তাকে মেডিকেল নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে? এতো কিছুর পরেও মিন্নি আজ ধোয়া তুলসী পাতা সেজে মিডিয়ার সামনে কেঁদে কেঁদে বলে নয়নের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই, ছিলোনা। তার সাথে তার বিয়ে হয়নি। নয়ন বন্ড খারাপ, সে তার মা বাবা ভাইকে মেরে ফেলার হুমকী দেখিয়ে তার কাছ থেকে কাগজে সই নিয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু মিন্নি কি এ বিষয়ে নয়নের নামে থানায় ডাইরি করেছিল? করেনি।
বাংলার মাটি যেমন উর্বর বাংলার মানুষও বেশ শান্ত- সহজে ক্ষেপেনা, জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়না। একজন মানুষের ওপর কতটা ক্ষোভ রাগ থাকলে মাথা গরম হয়, কতটা উত্তেজিত হলে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করতে পারে? সম্পূর্ণ ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দু তো মিন্নি, তাকেই ঘিরে এতো সংঘর্ষ। এই ঘটনার সাথে মিন্নি যদি জড়িত না থাকতো, তাহলে নয়ন ইচ্ছে করলে তার দলবল নিয়ে রিফাতকে অন্যকোথাও কুপিয়ে খুন করতে পারতো মিন্নির অনুপস্থিতিতে।
তা করেনি কেন? মিন্নির সাথে নয়নের অনেক ফাল্গুনি ইতিহাস, মিন্নিকে বিয়েও করেছিল নয়ন- রিফাত শরীফের’ সাথে বিয়ে হওয়ার পরও সে নয়নকে তার নয়নেই রাখে । মিন্নি ভেবেছিল তার সামনেই তার স্বামীকে খুন করলে সে অপরাধী হিসেবে ধরা পড়বে না আইন তথা জাতির চোখে। হয়তো তাই এই বিশাল বড় পরিকল্পনা, সমাজে এমন কিছু নারী তাদের বিলাসিতা, কেরিয়ার এবং সোসাইটি মেইন্টেইনের জন্য, চায় অঢেল অর্থ, আর এসবের জন্য প্রয়োজন একগুচ্ছ টাকাওয়ালা পুরুষ ক্ষমতাধারী পুরুষ।
আবার ভাল সুন্দর স্বামীও লাগে। এতো মিষ্টতা এতো মধুরতা দেখে মনেই হবেনা এই নারীরা এতো ছলনাময়ী। আজ এই রমণীদের জন্যই নয়ন বল্ডের মতো পুরুষরা ধর্ষক ও খুনি হয়ে জন্ম নিচ্ছে বাংলার মানচিত্রে। সন্ত্রাস কারা বানাচ্ছে? কাদের জন্য হচ্ছে খুনি ধর্ষক অপরাধী? ভাবুন তবে।
বিচার নাই দেশে, এ ব্যাপারে জনগণের বেশ হুলিয়া, শ্লোগান। পুলিশ তো গ্রেফতার করে যাচ্ছেন এক এক করে সব অপরাধীদের। বিচারের দৌড় গ্রেফতার জেল আর রিমান্ড পর্যন্ত। তনু হত্যার বিচার আজও যেমন ঝুলে আছে, ঝুলে থাকবে একের পর এক সব বিচার। অন্যায় বা অপরাধ করার আগে মনের ভেতর যে ভয় জন্মে সেই ভয় তো নেই, দেশে এতো ঘটনা ঘটছে অপরাধীর ভয়ংকর সাজা কি হচ্ছে? হচ্ছেনা! দিন দিন অপকর্ম চলছে, খুন হচ্ছে, শিশু ধর্ষণ হচ্ছে, সন্ত্রাসী বাড়ছে – তা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।
মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বটে, তবে আদালত থেকে বেশ দরদ সাংবিধানিক সিগনেচার, মিন্নিকে রিমান্ডে দেওয়া বিশেষ নিষেধ আজ্ঞা। ব্যাপারটা ভাবিয়ে তোলে। এত্তবড় এক পাকা খেলোয়াড় মিন্নি, সে কি সহজেই সাজা ছাড়া সত্য কথা প্রকাশ করবে? করবেনা।
নারী হলেই সাত অপরাধ মাফ, তা তো হয়না। আজ মিন্নির উপযুক্ত বিচার হলে সমাজের কোনো নারীই আর মিন্নি হয়ে উঠবেনা- পুরুষদের ইচ্ছে মতো ব্যবহার করবেনা। এমন অপরাধে শুধু গ্রেফতার পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে, কি করে অপরাধমুক্ত শান্তিপূর্ণ দেশ আশা করা যেতে পারে?
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here