ভারতের বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী মান্নাদে’র গান প্রায় হুবহু কন্ঠে গাইতে পারার কারনে কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার সাবেক চিথলিয়া বর্তমানে ধুবইল ইউনিয়নের কাদেরপুর গ্রামের বাসিন্দা ট্রাক ড্রাইভার আজমত আলী (৫০) কে এলাকার সঙ্গিতপ্রিয় মানুষরা তাকে ডাকেন ‘মান্নাদে’ সম্বোধনে। একদিন বড় শিল্পী হবেন এই স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১২ বছর বয়সে বড় ভাই আক্কাস আলীর কাছে গান শেখা শুরম্ন করেছিলেন আজমত আলী। কিন্তু অল্প বয়সে বিয়ে করে সংসারী হয়ে যাওয়াও বড় কন্ঠশিল্পী হবার রেসে থাকতে পারেননি তিনি। জীবিকার প্রয়োজনে আনত্মঃজেলা ট্রাক ড্রাইভারী করার ব্যাসত্মতার মধ্যেও বিভিন্নস্থান থেকে গান গাইবার আমন্ত্রন পান তিনি। বেশি ব্যসত্মতা থাকলে ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেকের গান গাইবার আমন্ত্রন রক্ষা করতে পারেন না। আর যখন ব্যসত্মতা থাকে না তখন আমন্ত্রন পেলে উপেক্ষা করেন না। ষ্ট্রেজ কিংবা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে আজমত আলী মান্নাদে’র আমি যে জলসা ঘরে, কি দেখলে তুমি আমাতে, ‘ক’ ফোটা চোখের জল ফেলেছো তুমি, হাজার টাকার ঝাড় বাতিটা, শাওন রাতে যদি, সুন্দরী গো দোহায় মান করো না ও কাল কিছুতে ঘুম এলানা সহ গানগুলো গাইতে থাকেন তখন সেখানে উপস্থিত দর্শরা মোহচ্ছন্ন হয়ে আজমত আলীর সুরের জাদুর মাঝে আবিষ্ট হয়ে যান। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক আজমত আলীর একমাত্র প্রিয় শিল্পী মান্নাদে। দেশ-বিদেশের অন্য কোন শিল্পীর গান তিনি কখনো গাইতে চেষ্টা করেন না। তবে সময় পেলে মাঝে মাঝে তিনি পাকিস্থানে গজল সম্্রাট গোলাম আলী ও ভারতের অনুপ জালোটার গান শুনে থাকেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/কঞ্চন কুমার/কুষ্টিয়া