14লাখো মানুষ চোখের জলে বিদায় জানালো ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ছয়বারের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম জয়ললিতাকে। মঙ্গলবার বিকালে চেন্নাইয়ের মারিনা বিচে গুরু এমজি রামচন্দ্রনের সমাধির পাশে চন্দনকাঠের কফিনে করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।

কিন্তু যে জয়ললিতা আজীবন ঘুরেছেন মন্দিরে মন্দিরে, কোনোখানেই ‘প্রণামী’ দিতে বাকি রাখেননি, সেই নিষ্ঠাবান হিন্দু নারীকে হিন্দু প্রথা মেনে দাহ করা হল না। কেন জয়ললিতাকে সমাহিত করা হল মেরিনা বিচে?

তার জবাবটা পেতে গেলে ঘেঁটে দেখতে হবে দ্রাবিড় রাজনীতির ইতিহাস, যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ জয়ললিতার দল ‘অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্রা কাঝাগাম’ বা এআইএডিএমকে।

দলটি বরাবরই হিন্দু রীতিপ্রথার বিরোধিতা করে এসেছে। দ্রাবিড় রাজনীতির দুই পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রয়াত সিএন আন্নাদুরাই ও এমজি রামচন্দ্রন, এমনকি পেরিয়ারকেও দাহ করা হয়নি। তাদেরও সমাহিত করা হয়েছিল।

তামিলনাড়ু সরকারের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীণ আমলা আনন্দবাজার পত্রিকাকে দাহ না করার নেপথ্যে এ কথাই জানিয়েছেন।

তার ভাষ্যে, ‘আমরা তাদের এতটাই সম্মান করেছি যে, আগুনে তাদের দেহ পোড়াতে চাইনি। পোড়াইনি। বরং চন্দনকাঠ আর গোলাপ জল দিয়ে তাদের মরদেহ কফিনে পুরে সমাহিত করা হয়েছে। ‘

সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৬৮ বছর বয়সে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়ললিতা। অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিক হয়ে ওঠা জয়ললিতা তার লাখ লাখ সমর্থকের কাছে ‘আম্মা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here