অমিত মালাকার, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বর্তমান যুগের তরুণদের চাহিদা নতুন নতুন আধুনিক চিন-া করা, নতুন কিছুকে মেনে নেয়া, বিভিন্ন বিষয়ে নতুনত্ব ফুটিয়ে তোলা । তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নতুন কিছুকে ফুটিয়ে তোলার বাসনায় এবং মানুষের জীবনের আনন্দ-বেদনা, চাওয়া-পাওয়া এবং কিছু করুণ বিষয়কে ফুটিয়ে তোলার মানসে এক ঝাঁক তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছোট চলচ্চিত্র বা শর্ট ফিল্ম নির্মানে কাজ করছে।
’ফিল্মই জীবন, ফিল্মই সমাজ’ এ মূলকথাকে সামনে রেখে বাকৃবির এক ঝাঁক তরুণেরা শর্ট ফিল্ম নির্মানে কাজ শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি কোন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়া একটু কঠিন, কিন’ এ কঠিন কাজকে সহজ করে নিয়েছে দেবাশিষ, সুজন, বাবু, কাব্য, প্রিয়া, ফরিদ, মুবাশ্বিরসহ আরও অনেকেই। তাদের অসাধারণ সাফল্যের ফসল পরিত্রান, ইনসাইট, শূণ্যতা, ফেরা,বৃত্ত,অনুভূতি প্রমুখ। কাজকে নিজের সাফল্য ধরে এবং সমাজ ব্যবস’াপনাকে পরিবর্তন করার মহান প্রত্যয় নিয়ে মেধাবী তরুণেরা যে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
আন-র্জাতিক আন–বিশ্ববিদ্যালয় শর্ট ফিল্ম ফেস্টিবালে বাকৃবির মেধাবী শিক্ষার্থী দেবাশিষ দাস অসাধারণ কৃতিত্বের ফসল শর্ট ফিল্ম নোন (শহড়হি)। গ্রামীন এক বৃদ্ধ মহিলার সহায় সম্বল সব হারিয়ে শেষ সম্বল একটি গরুও যখন হারিয়ে ফেলে। জীবনের করুণ পরিসি’তি ফুটে উঠেছে এ শর্ট ফিল্মটিতে। যার ফসল এনে দিয়েছে আন-র্জাতিক আন–বিশ্ববিদ্যালয় শর্ট ফিল্ম ফেস্টিবালে তৃতীয় স’ান অর্জনের মাধ্যমে। এ অসাধারণ সাফল্যে তরুণ চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে নতুন উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। তাদের কাজ যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
আজকের তরুণ শর্ট ফিল্ম চলচ্চিত্রকাররা আগামী দিনে তৈরী করবে বড় বড় চলচিত্র। সর্বাঙ্গীন সহযোগিতা ও সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তারাই হবে আগামী দিনের কর্ণধার।