উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পাদদেশে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু যমুনা ইকো পার্কে হাজার হাজার দর্শনার্থী ইজারাদার কর্তৃক হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্র জানায়, পার্কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উত্তর জনপদে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়ায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের প্রতারণাসহ হয়রানি করছে। ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত আছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনোদনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরা ১০টাকা দিয়ে প্রবেশ করলেও সামান্য বিশুদ্ধ পানি থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি নির্ধারিত ফি ৫টাকা থাকলেও সকলের নিকট থেকে ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় শিক্ষার্থীদের জন্য ৫টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ থাকলেও ইজারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করে সকলের নিকট থেকে ১০টাকা আদায় করছে। এবিষয়ে ইকোপার্ক ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোন নোটিশ না থাকায় সব ধরনের দর্শনার্থীদের নিকট থেকে ১০টাকা আদায় করতে তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। ইজারা চুক্তি ভঙ্গ করে এমন কাজ করলেও পার্কের দায়িত্বে নিয়োজিত বন কর্মকর্তারা কিছুই করছেনা। ইকো পার্কে বন বিভাগ এবং প্রশাসন ও সংবাদপত্র ছাড়া সকল প্রকার গাড়ী প্রবেশে নিষেধাক্কা থাকলেও ইজারাদার পার্কে আসা পর্যটকরা তাদের গাড়ি প্রবেশ করলে ৩’শ এবং মোটর সাইকেল প্রবেশে ১”শ টাকা জোর পূর্বক আদায় করছে। এছাড়া পার্কের বাইরে অবৈধ ভাবে গ্যারেজ করে গাড়ী প্রতি ৫০,মোটর সাইকেল ১০ এবং বাইসাইকেল থেকে ৫টাকা করে জোর পূর্বক আদায় করা হচ্ছে। ওই টাকা পরবর্তীতে ইজারাদার এবং বনকর্মকর্তারা ভাগ ভাটোয়ারা করেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এবিষয়ে ইকো পার্কের দায়িত্বে নিয়োজিত বন কর্মকর্তা মোঃ খায়রুল আনাম সাংবাদিকদের জানান, ইজারাদারদের নিকট তিনি জিম্মি। ইজারাদাররা তার কোন কথা মানছেনা। ভেতরে গাড়ি প্রবেশ ও টাকা আদায় সম্পর্কে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তবে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১০ টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন আমি নিরুপায়। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আমি সরকারি ভাবে নির্ধারিত ৫টাকার নোটিশ লাগিয়ে দেব।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সুজন সরকার/সিরাজগঞ্জ