মঙ্গলবার বক্তাবলী গণহত্যা দিবস। দেশ যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনি পাকহানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার প্রত্যন্ত অঞ্চল বক্তাবলির ২২টি পরগণায়। বর্বরোচিত ওই হামলায় পাক বাহিনীর হাতে ১৩৯ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ দেয়। তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি নারী কিংবা শিশুরা। রাজাকার আলবদররা জ্বালিয়ে দিয়েছিল গ্রামের পর গ্রাম। আজও স্বজন হারানো বুক ফাঁটা কষ্ট নিয়ে শ্রদ্ধার সাথে পালিত হয় দিবসটি। এবছরও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ‘বক্তাবলি গণহত্যা দিবস স্মরণ কমিটি।’

এদিকে বক্তাবলী গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বক্তাবলী ঈদগা মাঠে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। মেয়র নির্বাচিত হবার পরেও এটিই তার প্রথম কোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান।

কমিটির সভাপতি হারুন অর রশীদ দুলাল ও সাধারন সম্পাদক মনির হোসেন জানান, দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য অত্যনত্ম বেধনাবিদুর একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যাবার সময় নিরীহ ১৩৯ জন গ্রামবাসীকে ধলেশ্বরী নদী তীরে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। পুড়িয়ে দেয় বক্তাবলী পরগনার ২২টি গ্রাম। তাঁরা জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ তথা তৎকালীন মহকুমা শহরে একসাথে এত প্রাণের বিয়োগান্তক ঘটনা দ্বিতীয়টি আর নেই।

তাঁরা জানান, এবছর বক্তাবলি গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সকালে প্রভাত ফেরী, দুপুরে কাঙালি ভোজ ও বিকেলে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ডিক্রির চর ঈদগাহ মাঠে স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here