আ হ ম ফয়সল, কাঠমুন্ডু (নেপাল) থেকে:

 

সকলের জন্য স্যানিটেশন: স্যানিটেশন সকলের জন্য শ্লোগান নিয়ে শুরু হওয়া নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে পঞ্চম দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সম্মেলনের (সেকোসেন-৫) দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থার ধারণা উপস্থপন করা হয়েছে।

উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সরকারী, বেসরকারী, দাতা সংস্থা ও এনজিওসহ বিশেষ করে জনগণের অংশিদারিত্বের মাধ্যমে স্যানিটেশন খাতের অগ্রগতী নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কমিউনিটি ভিত্তিক স্যানিটেশন ও টেকসই বিষয়ক কার্যক্রমের অগ্রগতী, স্যানিটেশন পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ সমূহ তুলে ধরা হয়।

ইয়াকি-ইয়াতী হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ইউনিট (পিএসইউ) এর প্রকল্প পরিচালক কাজী আবদুল নূর।

এ অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু আলম মোঃ শহিদ খান। তিনি বলেন, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করার লক্ষ্য থাকলেও বাস্তবে তা সম্ভব নয়। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৬ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করছে। কিছু জনগোষ্ঠি রয়েছে যাদের মধ্যে ভাসমান ও দূর্গম এলাকা বসবাসকারী জণসাধারণকে স্যানিটেশন আওতায় আনাই মূল চ্যালেলঞ্জ। সে ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ অর্জন হলেও আমরা সফল মনে করবো।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কাট্রি-কোঅর্ডিনেটর ড. খাইরুল ইসলাম, প্রকৌশলী শাহবাজ খান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, ফানসা আহবায়ক মোঃ ইয়াকুব প্রমূখ।

সম্মেলনে যোগ দিতে আসা জাতিসংঘের পানি বিষয়ক পুরস্কার প্রাপ্ত বাংলাদেশের এনজিও ডর্‌পর প্রতিষ্ঠাতা ও সেক্রেটারী জেনালে এএইচএম নোমান বলেন, সামগ্রিক স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হলে পাবলিক পূয়র পার্টনারশীপ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রথমত দারিদ্র বিমোচনকে লক্ষ্য ঠিক করে, স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশের সরকারকে দারিদ্র বিমোচনের জন্য বিনোয়োগ বাড়াতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে আসা অপর অশগ্রহণকারী ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইমাম মাহমুদ রিয়াদ মিডিয়া এডভোকেসি এন্ড স্যানিটেশন বিষয়ক অধিবেশনে বলেন, আমাদের দেশে ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্যানিটেশন বিষয়ক অনেক সফল উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরণের লোক ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহৃত করে টেলিভিশন মিডিয়ায় রেয়েলিটি-শোর মাধ্যমে উপস্থাপন করা যেতে পারে। এতে করে টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর জনপ্রিয়তা পাশাপাশি স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতাও বাড়বে।

সম্মেলনে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের ৬৮ জন প্রতিনিধিসহ সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের সাড়ে চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

 

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here