আ হ ম ফয়সল, কাঠমুন্ডু (নেপাল) থেকে ফিরে:
নেপলে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সম্মেলনের সমাপনী দিনে ঢাকার মিরপুর বস্তির বাসিন্দা হাসিনা বেগমের প্রতি সকলের নজর পড়ে। এ সম্মেলনের সমাপনী দিনে নির্ভয়ে মূল মঞ্চে দাড়িয়ে বক্তব্য রাখেন হাসিনা বেগম।
তিনি বলেন, ঢাকায় ৩৭ শতাংশ মানুষ বস্তিতে বাস করে। বস্তিতে স্যানিটেশন সমস্যা প্রকট। একটি ট্যাট্রিন গড়ে ২০ জন ব্যবহার করতে হয়। সব ল্যাট্রিনে পানির ব্যবস্থা নেই। অনেক ল্যাট্রিন ড্রেনের সাথে সম্পৃক্ত। এগুলো মনিটরিং এর ব্যবস্থা নেই। বস্তিগুলোতে গর্ভবতী মা ও প্রতিবন্ধিদের জন্য বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেই।
এ ছাড়া হাসিনা বেগম রাজধানী ঢাকার স্যানিটেশন সমস্যা উত্তরণের বিভিন্ন বিষয় তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। সামগ্রীক স্যানিটেশন সমস্যা থেকে উত্তরণে হাসিনা বেগম সকলের মধ্যে সচেতনতা তৈরী এবং সরকারী, দাতা সংস্থা ও এনজিওদেরকে একসাথে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এ ছাড়া তিনি স্কুল পর্যায়ে হাত ধোয়ার চর্চা ও প্রতিটি স্কুলে স্যানিটেশন সুবিধায় পানি নিশ্চিত করার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সম্মেলনে বাংলায় দেয়া হাসিনা বেগমের বক্তব্যটি ইংরেজি ভাষায়ও অনুবাদ করে শোনানো হয়।
উল্লেখ্য, উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাঠমুন্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৩দিন ব্যাপী পঞ্চম দক্ষিণ এশীয় স্যানিটেশন সম্মেলন (সেকোসেন-৫) ২৪ অক্টোবর শেষ হয়েছে। ‘সকলের জন্য স্যানিটেশন: স্যানিটেশন সকলের জন্য’ শ্লোগান নিয়ে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর ইয়াকি-ইয়াতী হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের ৬৮ সদস্যের প্রতিনিধিসহ দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ভারত, নেপাল, আফগানিস্তান, ভূটান, মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।