কক্সবাজারে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১প্রতিনিধি :: কক্সবাজারে একটি বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার কার্গো বিমান সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর ক্রুসহ চার আরোহী নিয়ে উড়োজাহাজটি সমুদ্রে নাজিরারটেক পয়েন্টে বিধ্বস্ত হয়।

ট্রু এভিয়েশনের আন্ত-২৬ মডেলের ওই উড়োজাহাজটি কক্সবাজার ও যশোরের মধ্যে চিংড়ির পোনা পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বিমানের চার আরোহীর সবাই রাশিয়ার নাগরিক বলে দাবি করা হলেও পরে দুজনকে উদ্ধারের পর তারা ইউক্রেনের নাগরিক বলে পরিচয় পাওয়া যায়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

সৈকত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সাগরে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমান বাহিনীর একটি টহল বিমান, কোস্টগার্ডের নৌযান ও স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও তল্লাশিতে যোগ দেন।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অপারেশন কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, সকাল ১০ টার দিকে দুজনকে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘হাসপাতালে আনা দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।’ পরে আরো দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটিতে চিংড়ির পোনা ভর্তি ৯৭২টি বাক্স ছিল। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরপরই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজ আরোহীর খোঁজে সাগরে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মজিদ বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগরে ভাটা শুরু হওয়ার কারণে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২/৩ কিলোমিটার দূরে সরে গেছে।

ফলে বিধ্বস্ত বিমানটি উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জোয়ার শুরু হলে বিমানটি সৈকতের অনেকটা কাছাকাছি চলে আসবে। তখন উদ্ধারকাজ চালানো সহজতর হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here