স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা: বিশ্ব গণমাধ্যমে সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ঢাকার মিরপুরের কল্যাণপুরে এক বিশেষ অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহতের ঘটনা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। বিবিসি, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ইন্ডিয়া টুডে, দ্য ডন, রয়টার্স, সিএনএন, সিনহুয়াসহ প্রায় সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের এই ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচারিত হয়।
বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অফ ইন্ডিয়াসহ বিশ্ব গণমাধ্যমে বলা হয়, কল্যাণপুর আবাসিক এলাকায় তল্লাশি চালাতে গেলে জঙ্গিরা পুলিশের ওপর হাতে তৈরি বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলি বর্ষণ করে। এতে পুলিশ পাল্টা হামলা চালালে ৯ জঙ্গি নিহত হন।
বিবিসিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে সেক্যুলার লেখক, ব্লগার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর একের পর এক মরণঘাতী হামলা চালানো হয়। চলতি মাসের শুরুতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি নামের একটি রোস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। আর ওই হামলার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নামে।
রয়টার্স বলেছে, সোমবার রাতের অভিযানে নিহত ৯ জঙ্গিও গত ১ জুলাইয়ে গুলশান হামলার মতোই কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিল। ধারণা করা হচ্ছে এরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য ছিল। জেএমবি ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতি আনুগত্য পোষণ করেছে।
গুলশান হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মতো এদের পরনেও কালো পাঞ্জাবি-পায়জামা, কালো পাগড়ি এবং পিঠে কালো ব্যাগ ঝোলানো ছিল।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স বলেছে, সোমবারের সংঘর্ষে আহত হওয়ার পর আটক এক জঙ্গি জানায় তারাও গত ১ জুলাইয়ের গুলশান হামলার মতো আরেকটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।
রয়টার্স জানায়, ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস গত ১ জুলাইয়ের হামলার দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশ সরকার সে দেশে আইএসের অস্তিত্বের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।