তানসেন আলম,বগুড়া: বগুড়ায় ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছার আড়ালে শুরু হয়েছে নির্বাচনি প্রচারনা। এবছরের শেষে আর আগামী বছরের প্রথম দিকে পৌরসভা আর ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভব্য নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে এই আগাম প্রচারনা। এখন বগুড়ার শহর গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা ও পারা মহল্লায় সম্ভব্য মেয়র, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর ও মেম্বার প্রার্থীদের ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছার প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টার শোভা পাচ্ছে । এগুলোতে নিজেদের ছবির পাশাপাশি দলীয় প্রধান সহ অনান্য নেতাদের ছবিও শোভা পাচ্ছে। ছালাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোটারদের নজর কাড়তে সম্ভব্য প্রার্থীদের এসব প্রচারনা নজর কাড়ছে পথচারীদের। এদিকে প্রার্থীদের এসব আগাম প্রচারনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে বগুড়ার ছাপাখানা গুলোতে।
বগুড়ার প্রেসপট্রিতে গিয়ে দেখাযায়, অন্য বছরগুলোতে এসময় প্রচার ব্যবসায় জড়িতরা অলস সময় কাটাতো। কিন্তু এবছর অফ সিজেনেও দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। এখন তারা ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছার প্যানা ফেষ্টুন পোষ্টারের কাজ নিয়েই ব্যস্ত। এর পাশাপশি রয়েছে আগামী নির্বাচনের জন্য ভোটার ভাইদের ছালাম ও শুভেচ্ছা জানানোর প্যানা।
বগুড়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোছাঃ জাকিয়া সুলতানা আলেয়া জানান, পৌর নির্বাচনের আর বেশিদিন হাতে নেই। তাই এগুলো প্যানা ফেষ্টুনের মাধ্যমে ১২ নং ওয়ার্ড বাসির দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছি।
বগুড়া থানা রোডের (প্রেসপট্রি) এটি গ্রাফিকস এন্ড প্রিন্টার্সের স্বত্বাধিকারী তারাজুল ইসলাম জানান, অন্য বছর এসময় বসে থাকা লাগলেও এবছর সেটা নেই। নির্বাচন সামনে হওয়ায় হাতে এখন প্রচুর কাজের চাপ রয়েছে। পৌরসভা আর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে ঈদ ও শারদীয় শুভেচ্ছার প্যানা ফেষ্টুন ও পোষ্টারের কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। এর সাথে রয়েছে দোয়া প্রার্থনার প্যানাও। তিনি জানান, র্২ক্মর্৩ সাইজের একটি প্যানা ফ্রেম লাগানো সহ ১৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। আর র্৩ক্মর্৫ সাইজের একটি প্যানা ফ্রেম লাগানো সহ নেয়া হচ্ছে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। যদিও পরিমানের উপর দামের কমবারা নির্ভর করে। এ দুই সাইজের প্যানার চাহিদাই বেশি। এছাড়াও অনান্য অনেক সাইজের প্যানাও তৈরি করা হয়।
চকযাদু ক্রস লেনের মাশরেকী কম্পিউটার এন্ড প্রিন্টার্সের সাজেদুর রহমান ঝিলম জানান, ঈদ পুজার শুভেচ্ছা জানানো পোষ্টারের কাজ চলছে বেশি। প্রতিদিনই পোষ্টার ছাপানো হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রকাশনা মাধ্যমে বগুড়ার সুনাম রয়েছে অন্য অনেক জেলাতেই। তাই গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ অনেক জেলঅ থেকেই এখানে কাজ করতে আসে অনেকেই।