প্রথম বারের মতো কৃষি ঋণ মেলা শুরুখোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি:: শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি ঋণ কমিটির আয়োজনে দেশে প্রথম বারের মতো কৃষি ঋণ মেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দুই দিনব্যাপী এ মেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড, কর্মসংস্থান ব্যাংক, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক, সোসাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ও আইএফআইসি ব্যাংক কর্মকর্তা ও কৃষকদের অংশগ্রহনে কৃষি ঋণ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আলহাজ্ব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

কৃষি ঋণ মেলার উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুর সদর উপজেলার লাতাবাগ গ্রামের মো. মমিন উদ্দিন নামে একজন মৎস্য খামারীকে ২ লক্ষ টাকার কৃষি ঋণ চেক প্রদান করা হয়। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সারাদিন এ মেলায় কৃষকদের মাঝে সরাসরি ঋণ বিতরন করা হবে।

মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী মশলা চাষের জন্য ৪ শতাংশ, বকনা গাভী পালনে ৫ শতাংশ ও অন্যান্য কৃষি খাতে ৯ শতাংশ সুদে কৃষি ঋন বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে কৃষকদের অবগত করার জন্যই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

গতবছর কৃষি ঋণের অনেক টাকা কৃষকদের মাঝে বিতরণে ব্যর্থ হওয়ায় ফেরৎ গেছে। কৃষক ভাইদের কৃষি ঋণ সম্পর্কে অবগক করতে পারিনি বলে টাকা ফেরৎ যায়। তবে কৃষক ভাইদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে। আগামীর প্রজন্মের সুস্থতা ও মেধা বিকাশের কথা চিন্তা করে শাক-সব্জিতে বিষ প্রয়োগ করবেন না। শরীয়তপুরের মাটি কালিজিরা উৎপাদনে উপযোগী। শরীয়তপুরকে কালিজিরা উৎপাদনের মডেল হিসেবে দেখতে চাই।

জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শরীয়তপুর শাখার এজিএম মাইনুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. হাবিবুর রহমান, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক ম্যানেজার সুধাংশু কুমার দাস সহ সকল ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ।

জেলার কৃষকদের পক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষক চান মিয়া মাদবর। তিনি বলেন, এখন জমির মালিকগণ অনেকেই কৃষি কাজ করে না। কৃষির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে বর্গাচাষীরা। ঋণ সুবিধা পায় জমির মালিকরা কিন্তু বর্গাচার্ষীদের ব্যাংক ঋণ দেয় না। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সুযোগ থাকলে যেন জমির মালিক ও বর্গাচার্ষীর মধ্যে সমন্বয় করে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়।

মেলা থেকে জানানো হয়, ডাল, তেল, মশলা ও গাভী পালনে কৃষি ঋণ প্রদানের উদ্দেশ্যে এ কৃষি মেলা। উল্লেখিত ব্যাংকের মাধ্যমে জেলায় ২ হাজার ৪শ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করা হবে। আগ্রহী কৃষকগণ মেলা থেকেও কৃষি ঋণ সুবিধ গ্রহণ করতে পারবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here