কোটি কণ্ঠে জাতীয় সংগীতষ্টাফ রিপোর্টার :: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলুন উড়িয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাগুলো সংরক্ষণেরও দাবি জানান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই মঞ্চ থেকে বিকালে ‘কোটি কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ গাওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধান বিচারপতি পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘আইনের শাসন শুধু দেশের অভ্যন্তরে নিশ্চিত করলে হবে না। সারা পৃথিবীতেই আইনের শাসন থাকা প্রয়োজন।’
‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য এদেশে যুদ্ধাপরাধ করেছে, তাদের বিচার কেন হবে না? পাকিস্তানকে তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৯৫ জন সেনাকর্মকর্তার বিচার করতে হবে।’
বিচারপতি খায়রুল হক বলেন, ‘এই উদ্যান থেকেই স্বাধীনতার ডাক এসেছিল। এখানেই নয়মাস পর শত্রুবাহিনী আত্মসমর্পণ করে গেছে। ঐতিহাসিক এসব স্থানগুলোর কথা দেশের কজন মানুষ জানে।
‘এসব স্থাপনা সংরক্ষণ করতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব দেখে গর্ব করে বলতে পারে_ আমাদের পূর্ব পুরুষরা যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘এত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও এদেশে যুদ্ধাপরাধ হয়নি বলে পাকিস্তান যে মন্তব্য করেছে তা নির্লজ্জ মিথ্যাচার। এমন কথা শুনে চুপ থাকলে তা হবে মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়ার নামান্তর।
‘পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যা বক্তব্য শুনে চুপ থাকা যায় না। তাই তাদের সঙ্গে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম ছিন্ন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’
একাত্তরের অপরাধের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে না বলে জানান তিনি।
সার্ক ও জাতিসংঘ থেকেও পাকিস্তানের সদস্যপদ বাতিলের দাবি জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here