নেহলিনকে স্মরণসায়েম মাহামুদ::  আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্রী কাজী নেহলিন স্মরণে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য সংসদের যৌথ আয়োজনে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য যে ২০১৬ সালের রক্তঝরা অগাস্টের ১১তম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষ করে ঘরে ফেরার পথে মারাত্বক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের (তৎকালীন) ছাত্রী কাজী নেহলিন। এ ঘটনায় এছাড়াও কয়েকজন ছাত্রী গুরুতর আহত হন। সেদিনের রক্তঝরা দিনকে যুগযুগ ধরে মনে রাখার লক্ষ্যেই ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এ দোয়া-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিভাগীয় প্রধান ইফতেখার উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি- প্রফেসর ড. কে এম গোলাম মহিউদ্দীন।

প্রফেসর মহিউদ্দীন তার বক্তব্যে বলেন,  “নেহলিন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শহীদ তার রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না। এই শহীদের রক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গতিকে আরও বেগবান করবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় নতুন করে তার পথচলা শুরু করবে অতীতের সকল ভুল সংশোধন করে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা এবং মানবিক অনুষদের ডিন – প্রফেসর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মরহুমার বাবা – ডাঃ মুহাম্মদ আলী আকবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত থেকে হারানো বোনের প্রতি শোক জানায়।

বাবা-সম শিক্ষকরা এবং সহোদর-সম ভাই-বোনরা তাদের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক তাহের হোসাইন সেলিম তার বক্তৃতায় কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন “নেহলিন একজন বীর, আমরা সাহিত্যে পড়ে অনেক বীরের কথাই জেনেছি। নেহলিনও আমাদের তেমনই একজন যে নিজের জীবন দিয়ে আমাদের অনেক কিছু দিয়ে গেছেন”।

অতিথীদের স্মৃতিচারন শেষে ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ থেকে প্রকাশিত মাসিক ম্যাগাজিন “নেহলিন” এর মোড়ক উম্মোচন করেন নেহলিনের বাবা ডাঃ মুহাম্মদ আলী আকবর।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here