স্টাফ রিপোর্টার :: তামিম ইকবালকে ছাড়া উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৮ রান। চোটে পড়ে দলের বাইরে থাকা বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানের অভাব এই ম্যাচে ক’জনই বা অনুভব করেছে! লিটন দাস আর ইমরুল কায়েসের জুটি যেটা করে দেখালো তাতে লোকাল হিরো তামিমের অভাব অনুভব করারও কথা না।

৭৭ বলে লিটনের ৮৩ রান। ১০৭.৭৯ স্ট্রাইক রেটের এই ইনিংসে ছিল ১২ চার আর একটি ছয়। এতটা নিখুঁত ব্যাটিং করছিলেন তাতে শতক বঞ্চিত হওয়াটা দুঃখজনকই বটে।

গত রোববার প্রথম ওয়ানডেতে ফজলে মাহমুদ নিজের অভিষেক ম্যাচে করেছিলেন চার বলে শূন্য। আজ অবশ্য একটা বল বেশি খেলেছিলেন, তাতেও ফিরলেন রানের খাতা না খুলেই। সিকান্দার রাজাকে ডাউন দ্যা উইকেটে মারতে গিয়ে হলেন স্ট্যাম্পিং। শঙ্কা জাগারই কথা তার ক্যারিয়ার নিয়ে।

‘ইমরুল কায়েসের শতকে সিরিজ বাংলাদেশের’ এমন শিরোনাম লেখাই যেতো কিন্তু বিপত্তি বাঁধায় সেই সিকান্দার রাজার বলেই। নার্ভাস নাইন্টির কোটায় ক্যাচ তুলে দিলেন এল্টন চিগুম্বুরার হাতে। ১১১ বলে ৯০ রান করে ফিরলেন সাজঘরে।

মুশফিকের সঙ্গে ইমরুলের জুটিটা ৫৯ রানের। ইমরুল বিদায় নিলেও মুশফিককে আউট করতে পারেনি সিকান্দার রাজারা। টাইগার ব্যাটিং লাইন আপের মিডল অর্ডারে ভরসার নাম হয়ে উঠা মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।

৭ উইকেটের বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ অধিনায়ক।

হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর কেফাস ঝুওয়াওয়ের উদ্বোধনী জুটি ১৮ রানের মাথায় ভাঙ্গলেও ব্রেন্ডন টেইলরের ৭৫, শেন উইলিয়ামসনের ৪৭ আর সিকান্দার রাজার ৪৯ রানে ভর করে বাংলাদেশকে লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল ২৪৭ রানের।

বাংলাদেশের হয়ে সাইফুদ্দিন নিয়েছিলেন ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট। এই ম্যাচ জয়ে সিরিজসহ জিম্বাবুয়েকে ১০ বার সিরিজ হারালো বাংলাদেশ।

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে হবে আগামী ২৬ অক্টোবর একই ভেন্যুতে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here