মহানন্দ অধিকারী মিন্টু।

পাইকগাছা: খুলনার পাইকগাছায় রোডগার্ড ছাড়া ভাঙাচুরা ঢালু সংযোগ সড়ক শিবসা ব্রিজ এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বহু হতাহতের স্বাক্ষী এ সড়ক। বহু পঙ্গুত্ববরণসহ একাধিক জীবনহানী ঘটেছে। এত কিছুর পরও শিবসা ব্রিজ এপ্রোস সড়কটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসছে না।

জানা যায়-উপজেলার সোলাদানা, গড়ইখালী, লতা, দেলুটি ও লস্কর ইউনিয়ন এবং পার্শ্ববর্তী দাকোপ থনার লাখ মানুষের পারাপারে দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শিবসা ব্রিজ করা হয়। জাতীয় সংসদের সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী ১৯৯৫ সালের ৮ এপ্রিল ব্রিজের ভিত্তিপ্রসত্মর স্থাপন করেন। যা ২০০৪ সালে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। পৌরসদরে কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া শিবসা নদী। আর তৎকালীন সময় এ নদী দিয়ে যাত্রী ও মালবাহী লঞ্চ-স্টীমার চলাচল করতো। ব্রিজের নিচ দিয়ে নৌ চলাচল ঠিক রাখতে উঁচু করে নির্মাণ করা হয় শিবসা ব্রিজ। তৈরী করা হয় ব্রিজের দু’পাশে ঢালু এপ্রোস সড়ক। ঢালু সংযোগ সড়কে নেই কোনো রোডগার্ড। প্রতিদিন ব্রিজের উপর দিয়ে চলছে ছোট বড় পণ্য বোঝায় ট্রাক, ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, নছিমন, করিমন, মাহিন্দ্র, মোটর ও বাইসাইকেল। একদিকে রোডগার্ড নাই অন্যদিকে দু’পাশে বাইপাস সড়ক ভাঙাচুরা আর খানাখন্দে ভরা, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। যাত্রী ও মাল নিয়ে ব্রিজে উঠানামা করতে যানবাহন উল্টে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় ২৫/৩০ফুট উচু এপ্রোস সড়কের ঢালে যাত্রী ও মালবাহী গাড়ী পড়ে দুর্ঘটনা কম নয়। জীবনের ঝুঁকি এড়াতে প্রায় ৩/৪শ হাত দুরে যাত্রীদের নামিয়ে চালক খালি গাড়ী ব্রিজ পার করছে। আর যাত্রীরা পায়ে হেঁঠে ব্রিজে উঠছে। সম্প্রতি ফনিন্দ্র নাথ, ময়নুদ্দীন গাজী ও ইট বোঝায় গাড়িতে উল্টে অজ্ঞাতনামা শিশুসহ মারা যায় কয়েকজন, পঙ্গুত্ববরণ করেছে অনেকে। ব্রিজ থাকলেও পারাপারে সচল ছিল খেয়া। বর্তমানে নদীর বড়্গে পলী পড়ে মৃত প্রায় শিবসা নদী। আর বন্ধ হয়েছে খেয়া পারাপার। জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন লাখ মানুষ বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হচ্ছে। প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা আর চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল শিবসা ব্রিজ এখন ওই অঞ্চলবাসীর মরণ ফাঁদ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here