ডেস্ক রিপোর্ট : অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গ্রিসের সরকার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তুরস্ক সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। অভিবাসীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই দেশটিতে ব্যাপকহারে অনুপ্রবেশ করতে পারেন; এমন উদ্বেগ থেকে প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এথেন্স।

সোমবার গ্রিসের সরকারের মুখপাত্র স্টেলিওস পেটসাস বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের আগে তুরস্ক সীমান্তে আরও ২৬ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণ করা হবে। ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রাচীর নির্মাণের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই সীমান্তে গ্রিস আগেই ১০ কিলোমিটার প্রাচীর নির্মাণ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের আর বাধা দেয়া হবে না বলে চলতি বছরে তুরস্ক ঘোষণা দেয়ার পর দেশটির সঙ্গে সীমান্তে গ্রিসের বিরোধ তৈরি হয়। তুরস্কের এই ঘোষণার পর লাখ লাখ অভিবাসী সীমান্ত পেরিয়ে গ্রিসে প্রবেশের চেষ্টা করে।

এছাড়াও ভূমধ্যসাগরের পূর্বাঞ্চলে জ্বালানির মালিকানার দাবি ঘিরে দুই দেশের মাঝে বিবাদ দেখা দেয়। এর জেরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক এবং গ্রিস বিপজ্জনকভাবে সামরিক উপস্থিতি ঘটায়; যা এই অঞ্চলে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

তুরস্ক সীমান্তে নতুন করে প্রাচীর নির্মাণ এবং বিদ্যমান প্রাচীরের উন্নয়নের জন্য গ্রিসের সরকার দেশটির চারটি কোম্পানিকে চূড়ান্ত করেছে। তুরস্ক এবং গ্রিসের বেশির ভাগ সীমান্ত এলাকা এভরোস নদীর পাশ ঘেঁষে রয়েছে।

শনিবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস তুরস্ক সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। নতুন একটি প্রাচীর পরীক্ষামূলক চালু উপলক্ষ্যে সেখানে যান তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং সীমান্তে উত্তেজনার জেরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করায় চলতি বছর তুরস্ক থেকে গ্রিসে অভিবাসী এবং শরণার্থীদের প্রবেশের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। তুরস্ক দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ইজিয়ান সাগরের দ্বীপে অভিবাসীদের অবৈধভাবে গ্রিস ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। তবে গ্রিস এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, বিশ্বে বর্তমানে সর্বাধিকসংখ্যক শরণার্থী তুরস্কে রয়েছেন। দেশটিতে প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থী রয়েছেন; যাদের বেশিরভাগই সিরীয়।

সূত্র: এপি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here