ডেস্ক রিপোর্ট::  ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ প্রণীত হয়। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথের পর এটি পূর্ণাঙ্গরূপে উপস্থাপিত হয় এবং সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য আইনি দলিল হিসেবে স্বীকৃত হয়।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

১৭ এপ্রিলের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেওয়ার মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সেক্ষেত্রে বলা যেতে পারে মুজিবনগরের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আজকের বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার যোগসূত্র রচিত হয়। বিশ্ববাসী জানতে পারে বাংলাদেশে একটি বৈধ সরকার গঠিত হয়েছে এবং সেই সরকারের নির্দেশনায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনতার সংগ্রাম করছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা টেলিগ্রাম ও ওয়ারলেসসহ টেলিযোগাযোগ যন্ত্র ব‌্যবহার করে যে সকল বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও প্রেরণ করতে সহযোগিতা করেছেন তারা জাতীয় বীর। এসকল বীরদের যথাযথ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম. আমিরুল ইসলাম এনডিসি, বিটিআরসির কমিশনার মুশফিক মান্নান চৌধুরী, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, বিটিসিএলের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক‌্যাবল লিমিটেডের ব‌্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদসহ অন্যান্যরা।

এ সময়, মুজিবনগর সরকারের ৮টি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here