ডেস্ক রিপোর্ট :: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা হলো মাস্ক ব্যবহার করা। কিন্তু মাস্ক পরে থাকলে অনেক সময়ই নিজের কথা অন্যকে বুঝাতে সমস্যা হয়। এ সমস্যার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছে গেইমিং প্রতিষ্ঠান রেজর।
বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট ফেইস মাস্ক বানানোর দাবি করেছে গেইমিং প্রতিষ্ঠানটি – এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি। ফেইস মাস্কটি সিইএস ২০২১ আসরে দেখিয়েছে তারা। প্রকল্পটির নাম, প্রজেক্ট হেজল।
রেজরের স্মার্ট মাস্কটি ব্যবহারকারীদেরকে পরিষ্কারভাবে কথা বলতে দেবে, এজন্য এতে রয়েছে বিল্ট-ইন মাইক্রোফোন। রেজর বলছে, মাস্কটি ব্যবহারকারীদের আওয়াজ বাড়িয়ে দেবে, এতে করে মাস্ক পরা অবস্থায় থাকলেও কথা বুঝতে অসুবিধা হবে না কারো।
সিইএস আসরে মূলত স্মার্ট মাস্কটির একটি প্রটোটাইপ দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নকশায় দেখা গেছে, মাস্কে সক্রিয় বায়ু-চলাচল ব্যবস্থা রয়েছে। গরম বাতাস বের করে দিয়ে ঠাণ্ডা বাতাস টেনে নেবে ওই বায়ু চলাচল ব্যবস্থা। রেজর বলছে, তাদের তৈরি মাস্কটি হবে এন৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক শ্রেণীর।
বায়ু চলাচল ব্যবস্থাটি কতোটা টেকসই হবে, এবং কতোদিন পরপর ফিল্টার পাল্টাতে হবে, তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
স্বচ্ছ্ব প্লাস্টিকের আবরণে তৈরি হয়েছে মাস্কটি। ফলে সহজেই মানুষের ঠোঁট দেখে বুঝে নেওয়া যাবে তিনি কী বলছেন, পাশাপাশি চোখে পড়বে মুখের ভঙ্গিমাও।
মাস্কটির ‘লো লাইট মোড’ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে রেজর। স্বল্প আলোতে জ্বলে উঠবে মাস্কের অভ্যন্তরীন অংশ। রেজরের দাবি, এতে করে “আলোর ব্যাপারটি আমলে না নিয়েও পরিষ্কারভাবে নিজেকে প্রকাশ করা যাবে”।
রেজর আরও জানিয়েছে, মাস্কের চারপাশে থাকা সিলিকন ফিটিং চেহারাকে আরাম দেবে এবং মাস্ককে মুখে লেগে যাওয়া থেকে বিরত রাখবে। এ ছাড়াও মাস্কের মোটা ‘ইয়ার লুপ’ কানের উপর চাপ কমাবে।
মাস্কটির জন্য ‘ভয়েসম্যাপ’ নামে একটি ফিচারও পেটেন্ট করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পণ্যটি পুরোটাই এখনও ধারণার পর্যায়ে রয়েছে, বিক্রির জন্য আসেনি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্যও করেনি রেজর