যশোরের চৌগাছা উপজেলায় পুলিশের গুলিতে দুই ছাত্রশিবির নেতা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তল্লাশি চেকপোস্টে বোমা হামলা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে তারা গুলিবিদ্ধ হন বলে দাবি করেছেন চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান।
আহতরা হলেন- চৌগাছা উপজেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি উপজেলার স্বরূপদহ ইউনিয়নের চুটারহুদা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ইসরাফিল হোসেন (২০) এবং উপজেলা শাখার সাহিত্য সম্পাদক নারায়ণপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে রুহুল আমিন (১৯)।
তবে এই দুই ছাত্রশিবির নেতার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, বুধবার রাতে পুলিশ এই দু’জনকে ধরে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবার দু’টির সদস্যরা চৌগাছা থানার হাজতখানায় গিয়ে ইসরাফিল ও রুহুলকে দেখতে পান। পরে বৃহস্পতিবার রাতে রুহুল ও ইসরাফিল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশই দুই পরিবারকে খবর দেয়।
চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম মসিউর রহমান জানান, ”বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার চৌগাছা মহেশপুর সড়কের বুন্দলিতলায় টহল পুলিশ অবস্থান করছিল। এ সময় ওই রাস্তা দিয়ে দু’টি মটরসাইকেল যেতে দেখে পুলিশ তাদের গতিরোধের সিগনাল দেয়। কিন্তু মটরসাইকেল আরোহীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে।
এতে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সিরাজুল ইসলাম ও কনস্টেবল জহিরুল হক আহত হন। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৫-৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে দুই তরুণ আহত হয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে রাত ১২টার দিকে তাদের যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুটি বোমা, একটি রামদা, শিবিরের চাঁদা আদায়ের রশিদ এবং ‘জিহাদি’ বই উদ্ধার করা হয়েছে।