ডেস্ক রিপোর্ট:: মুজিববর্ষে সেরা করদাতা হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী মো. কাউস মিয়া।শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ২০২০-২১ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে ‘মুজিববর্ষে জাতীয় পর্যায়ে সেরা করদাতাকে সম্মান প্রদান’ কার্যক্রমটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজী মো. কাউস মিয়ার হাতে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও মানপত্র তুলে দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ পুরস্কার সম্পর্কে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মুজিববর্ষে দেশের বিশিষ্ট করদাতাদের সম্মান জানাতে। সেখান থেকেই আমরা একজনকে বেছে নেই। হাজী মো. কাউস মিয়া দীর্ঘদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ করদাতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি কর দেওয়াকে নিজের দায়িত্ব মনে করেন।

হাজী মো. কাউস মিয়া বলেন, একাত্তরের সময় বঙ্গবন্ধু আমাকে ভালোবেসে ছিলেন। এখন তার শতবর্ষে এসে এ পুরস্কার আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি অনেক খুশি ও আনন্দিত।

এর আগে ইএফডি/এসডিসি মেশিন ব্যবহারকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পারফরমেন্স বিবেচনায় সম্মাননা দেওয়া হয়।

ইএফডি/এসডিসি মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ভ্যাট সংগ্রহ করায় জাতীয় বোর্ডের এ সম্মাননা পেয়েছে ধানমন্ডির স্টার হোটেল অ্যান্ড কাবাব। গত বছরের নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটিকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্টার হোটেল অ্যান্ড কাবাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর আক্তার উদ্দিনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

এ সময় তিনি বলেন, আমরা সাধারণ জনগণকে ইএফডি/এসডিসি মেশিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। নতুন একটি সিস্টেমের সঙ্গে অভ্যস্ত করা সহজ বিষয় নয়। আমরা মেশিনের মাধ্যমে খুচরা পর্যায় থেকে ভ্যাট সংগ্রহের যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম, সেটি এত দ্রুত সফল করা সম্ভব নয়। তবে আমরা আশাবাদী এটির সঙ্গে সবাই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

তিনি বলেন, খুচরা পর্যায়ে অনেকে ভ্যাট দিতে চায় না। অনেকের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করাও সহজ নয়। অনেকেই ভাবে এ মেশিনে ভ্যাট দিলে তা আদৌ সরকারের কাছে পৌঁছাবে কি না! তবে আমি এটুকু বলতে চাই- ইএফডি/এসডিসি মেশিন ব্যবহার করে খুচরা পর্যায়ে যে ভ্যাট দেওয়া হচ্ছে, তা সরকারের কাছেই যাচ্ছে। আর এটি ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায় পর্যন্তও নেওয়া হবে। আর এ পদ্ধতি ব্যবহার করে রিটার্ন দেওয়াও খুব সহজ।

এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত যেসব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মূসক চালানপত্রের মাধ্যমে কর দিয়েছেন তাদের নিয়ে র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এ লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে মোট ১০১টি পুরস্কার রয়েছে। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here