-মিনা মাশরাফী
মনে পড়ে শৈশব কেটেছে আমার ..
অম্লান স্মৃতি তার ভোলা বড় ভার।
আনন্দ কোলাহলে উঠেছি বেড়ে নানা ধর্ম সাংস্কৃতির পরিমন্ডলে ।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মের নানা উৎসবকে ঘিরে …
মা’বাবা, চাচা-কাকা, কানাইদা, বলাইদা.. বৌদীদের স্নেহ মমতায় আহ্লাদে সোহাগে আদরে উঠেছি বেড়ে…।
সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় শক্ত ছিল মানুষে মানুষে সমান ।
ছিল না ভেদাভেদ সেথা হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিস্টান ।
পাড়ার ঠাকুমা’ আর বিধবা বুলবুলিদির সাথে কত খুনসুটি। .. পুজাঁর কাপড় ছুঁয়ে দিয়ে কত বকুনী খেয়েছি..মিস্টি আস্বাদ।
পুজা পার্বনে ঢাকে ঢোলে রমরমা মন্ডবের প্রসাদ …
হাত পেতে আনন্দ উৎফুল্ল মনে ছুটে বেড়াতাম..খেলার সাথীদের সাথে …
অনিমা,কল্পনা সন্ধ্যা, শোভা, গিরিবালা,চিত্রা দিদি, শ্যামলী, সোহাগী,স্বপন, অসিদ , কানুদা, ছানুদা,দানুদা.. ভুলেও গিয়েছি কত নাম …!
সরস্বতী পুজা,কালীপুজা দেয়ালী প্রদ্বীপ জেল্বে নানা পুজা পার্বন ঘিরে বিয়ে উৎসবে শরিক হয়েছি ..
শঙ্খ উলুধ্বনিতে মিলেছি মিলন মেলায়।
শারদীয় সন্ধ্যায়,আরতির..মৌ মৌ ধূপ ধুনার ধোঁয়ায়..
কুশলী নৃত্য দেখে নির্ঘুম কত রাত্রি কেটেছি..অবলীলায়।..
খৈ নাড়ু মুড়ি সন্দেশ খেয়েছি দু’হাত ভরে .. মন্ডপের আঙ্গিনায় …।
ঈদ ‘মহররম .. তেমনি ছিল উৎসব আনন্দের সম্প্রীতি..
ঘরে ঘরে পাড়ায় পাড়ায় বিলাতাম
উৎসবের হালুয়া রুটি।
মন্জুবৌদি , উমাবৌদি,পাড়ার বৌদিদের আঁচল ধরে কত খুনসুটি..
জ্বালাতন সয়ে ঠাকুর ঝি’ ডেকে..
খোলা চুলে যতনে বেঁধে দিত ঝুটি।
ঠাকুমা, মাসিমা, কাকিমাদের ছিল আলাপন আড্ডা আসর..
মায়ের ঘাঁসে ঢাকা সবুজ উঠানে
বিশাল যজ্ঞে জমতো প্রতিটি দুপুর।
সোহাগী, বিশ্বনাথ, ছিল
ডাংগুলি আর মার্বেল খেলার সাথী
খেলায় হেরে গুলি নিয়ে কাঁদাকাটি
মিটাতো দাদারা এসে…….,……ছিল এমন সম্প্রীতি…!
শিথিল কেন এখন এমন ..
শক্ত সম্প্রীতির দৃঢ় বন্ধন ?