নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যসহ পাঁচ নেতাকে মতিঝিল থানার পৃথক দুটি মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে।
৯ নভেম্বর ওই দুই মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হলেও মামলার কেস ডকেট না থাকায় বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই পাঁচ নেতা হলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে থেকে স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যকে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা থেকে বেরোনোর পর অন্য দুজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের মতিঝিল থানার ওই দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়।
মতিঝিল থানার ৪৪(৯)১৩ নম্বর মামলার তদন্তকার্রী কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান রিমান্ড আবেদনে বলেন, তথ্যমন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হলে উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশমতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোয়া ১২টার দিকে এজাহারনামীয় ৫৪ জন আসামিসহ অজ্ঞতানামারা মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ঝটিকা মিছিল বের করে রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
মতিঝিল থানার ১৬(১১)১৩ নম্বর মামলার তদান্তকার্রী কর্মকতা এসআই খন্দকার জাহিদ রিমান্ড আবেদনে বলেন, গত ৫ নভেম্বর হরতালের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুর বাজার রোডের নিউ আনারকলি বেকারির বিপরীত দিকের রাস্তায় উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশমতো এজাহারনামীয় ৭৪ জন আসামি রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের কাজে বাধা সুষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।