বান্দরবানে ইটভাটার জন্যে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা চলছেইএনামুল হক কাশেমী, বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবান জেলা সদরের অদুরে রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা নামক এলাকায় প্রকাশ্যে দিবোলোকে আস্ত পাহাড় কেটে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটা তৈরির কাজে। আওয়ামীলীগের এক নেতার ‘এবিএম’ নামীয় ইটভাটায় গত ১৫দিন ধরে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে পাহাড়ের মাটি সংগ্রহ করা হলেও জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং থানার পুলিশের রহস্যজনক নিস্ক্রিয়তায় অবাধে পাহাড় কাটা ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।

এতে পরিবেশ দ্রুত কলুষিত হয়ে পড়ছে বলেও স্থনীয়রা গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। আজব হলেও সত্যি যে, রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা ওমর আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ছাইংগ্যা এলাকার এবিমএম ইটভাটার জন্য পাহাড় কাটার দৃশ্যটি সরেজমিন তদন্তে গেলেও সেখানে নাকি পাহাড় কাটার কোন লক্ষণ তিনি দেখতে পাননি বলে এ প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে জানান।

তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইটভাটার মালিকের সংগে ওই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে গোপন বৈঠক হয়েছে জেলা শহরের পুলিশ ক্যান্টিন তাজিংডংয়ে।

ছাইংগ্যায় অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশ ধংস করার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে দফায় দফায় অভিযোগ জানানো সত্বেও পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত কোন উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি বলে স্থনীয়রা জানিয়েছেন।

ইতমধ্যেই আস্তা পাহাড়ের অর্ধেকাংশ সাবাড় হয়ে গেছে। ফলে এলাকার সচেতন নাগরিকরা চরম ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন,তারা মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি দিতেও এগুচ্ছেন। এতে সরকারের ভারমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থনীয়রা।

বান্দরবানে ইটভাটার জন্যে প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা চলছেইগুরুতর অভিযোগ উঠেছে, জেলা সদরের সাংগু নদীর পুর্বপাড়ে রোয়াংছড়ি উপজেলার ছাইংগ্যা এলাকায় মনিরুজ্জামান মিলনের মালিকানার এবিএম মার্ক করা ইটভাটা তৈরির জন্যে অনুমোদন ছাড়াই পাশের একটি পাহাড় কাটা হচ্ছে, একাজে ব্যভহার করা হচ্ছে স্কেভেতরসহ ভারী যন্ত্রপাতি। কর্তিত পাহাড়ের মাটি মজুদ করা হচ্ছে ইটভাটা প্রাংগনে, সেখানেই তৈরি করা হচ্ছে কাঁচা ইট।

ইটভাটার মালিক পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ায় প্রশাসন বরাবরই নির্বিকার থাকছে, কোন আইনি ব্যবস্থ নিচ্ছেন না খোদ জেলা প্রশাসকও। আওয়ামীলীগ নেতার প্রভাবখাটিয়ে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে ইটভাটায় মাটি ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়লেও প্রশাসনসহ সরকারি কোন মহলই ওই ব্যক্তির বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থ গ্রহণ না করায় অন্যরাও উৎসাহিত হচ্ছেন নানান অপকর্মের ক্ষেত্রে।

ছাইংগ্যা এলাকার বাসিন্দারা বলছেন,জেলায় প্রশাসন বলতে কিছুই নেই বলে মনে হচ্ছে, কারণ প্রকাশ্যে পাহাড় কাটা বন্ধের জন্য কোন উদ্যোগই নেই সরকারি কর্মকর্তাদের, এটি অসহনীয় ও অরাজক বিষয়ও বটে।

এ প্রসংগে জেলা প্রশাসকের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবৈধ পাহাড় কাটার বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থ নেয়া হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here