খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরের সখিপুরে সৌদি প্রবাসী নারীর যৌনাঙ্গে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে তার বোন রাবেয়া। মঙ্গলবার শরীয়তপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ তানিয়া রূপা) এর আদাতের বুলবুল সরদার সহ ৭ জন আসামী করে মামলা হয়। সখিপুর থানাকে মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বুলবুল সরদার ও তার স্ত্রী মনি সহ কয়েকজন লোক সৌদী প্রবাসী নারী সুমিকে (২০) শাররীক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে আসামীরা সুমিকে মাটিতে ফেলে যৌনাঙ্গে শক্ত লাঠি ঢুকিয়ে গুতো মারে। এতে সুমির যৌনাঙ্গে রক্তাক্ত যখম হয়। সুমির মা জোসনা বেগম সুমিকে রক্ষা করতে আগাইয়া গেলে আসামীরা তাকেও মারধর করে। এ বিষয়ে সুমির পিতা বাবুল দেওয়ান সখিপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহন করেনি। পরবর্তীতে সুমির বোন রাবেয়া আদালতে মামলা করেছে।
আহত সুমি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের বেড থেকে বলে, চাঁদার দাবীতে আমদের উপর বুলবুল সরদার নির্যাতন করতো। আমার কোন ভাই নাই। আমরা ৬ বোন কোন প্রতিবাদ করলে বুলবুল সরদার তার পুলিশ অফিসার আত্মীয়ের ভয় দেখাইতো। আমরা ৩ বোন সৌদি আরব থাকি। মাসে ৬০ হাজার টাকা পাঠাই। আমার বাবা বাড়িতে বড় ঘর দেয়ায় বুলবুল সরদার ২ লক্ষ টাকা চাদা চায়। চাদা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার উপর হামলা চালায়।
মামলার বাদী রাবেয়া বলেন, বুলবুল সরদারের শ্বশুর পক্ষের এক আত্মীয় (ভুট্ট) পুলিশের অফিসার। তার ভয় দেখিয়ে আমাদের নির্যাতন করতো। এবার বুলবুল সরদার চাঁদা চায়। চাঁদা না দেয়ায় আমার বোন ও মাকে নির্যাতন করেছে। আমার বাবা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয় না। তাই আদালতে মামলা করেছি। আমার ছোট বোন মালা ৮ম শ্রেনীতে পড়ে। আসামীরা তারও ক্ষতি করার চেষ্টা করতেছে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, এর পূর্বে কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে আসে নাই। এখন অভিযোগ নিয়ে আসছে। মামলা নেয়া হবে। আদালতে মামলা হয়েছে কি না তা জানা নাই।
উল্লেখ্য, সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়াল কান্দি গ্রামের বাবুল দেওয়ানের বাড়িতে বুলবুল সরদার চাঁদার দাবীতে তার স্ত্রী মনি সহ কয়েকজন লোক নিয়ে গত রোববার রাত ১০টায় হামলা চালায়। এ সময় বাবুল দেওয়ানের স্ত্রী জোসনা বেগম ও মেয়ে সৌদি প্রবাসী সুমিকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বুলবুল সরদারের স্ত্রী মনি সুমিকে মাটিতে ফেলে সুমির যৌনাঙ্গে লাঠি লাঠি ঢুকিয়ে দেয়। এতে সুমির যৌনাঙ্গে গুরুতর রক্তাক্ত যখম হয়।