এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বন্দর থানা ও কদমরসুল পৌর বিএনপির উদ্যোগে বন্দরে মিছিলের নামে শোডাউন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

শোডাউন শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তৈমুর বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বন্দরবাসীর প্রানের দাবি শীতলক্ষ্যা সেতু অবশ্যই নির্মান করবেন। আর যদি তিনি সেতু নির্মাণ করতে না পারেন তবে তিনি আর বন্দরে মুখ দেখাবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে বিশাল  মিছিলটি বন্দর রেললাইন এলাকা থেকে শুরু  করে সালেহ নগর হয়ে বন্দর, কদমরসুল এলাকা প্রদক্ষিন করে নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

দুপুর থেকেই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বাদ্য বাজনা, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তৈমুর আলম খন্দকারের ছবি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে বন্দর রেললাইন এলাকায় এসে জড়ো হয়।

এ সময় তারা তৈমুর আলম খন্দকারকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি হিসেবে পেতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খাজা আবুল খায়ের, মহানগর হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন,সহ-সভাপতি এড.বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন, বন্দর শহর বিএনপি সভাপতি নূর মোহাম্মদ পনেছ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহেন শাহ, সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, সহ-সভাপতি গোলাম নবী মুরাদ ও মাসুদ রানা, নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদ খান ভাষানী, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট বারী ভুইয়া, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেন,আনোয়ার হোসেন আনু, রানা মুজিব, আকতার হোসেন খোকন শাহ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান, নগর বিএনপির নুরুল হক চৌধুরী দিপু, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ, শহর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মনির মল্লিক, জেলা মহিলাদলের সভানেত্রী নুরুন্নাহার, সাজেদা খাতুন মিতা, বন্দর মহিলাদলের সভানেত্রী নাজমা বেগম প্রমুখ।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তৈমুর আরও বলেন, এখানকার স্থানীয় একজন সাবেক এমপি জিয়া পরিবার ও বিএনপির বিপদের সময় ঘোষণা দিয়ে ছিলেন তোমরা আমার কাছে আর এসো না। আমি আর রাজনীতি করবো না। এখন তিনিই আবার হালুয়া রুটি খেতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। অথচ বিএনপির নির্যাতিত কর্মীদের পাশে দাড়াননি। চাষাঢ়া জিয়া হল থেকে শহীদ জিয়ার ছবিতে কালি মেখে দেয়ার পরও তারা প্রতিবাদ না করে ঘরে বসে ছিলেন। জিয়া পরিবারের দু:সময়ের সময় তিনি বিএমডব্লিউ গাড়িতে ঘুরেছে।

একটা সময় তিনি বন্দরের বিএনপির রাজনীতিকে ড্রইং রুমে বন্দী করে রেখেছিলেন। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বন্দরের বিএনপির রাজনীতিকে রাজপথে এনেছি। বন্দর বিএনপি এখন অনেক শক্তিশালী ও জনগনের দলে পরিনত হয়েছে।

তিনি অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, আকরাম প্রধান, মাসুকুল ইসলাম রাজীব, রশিদুর রহমান রশু, কাজী সায়েম,সাইফুল ইসলামসহ সকল নেতা কর্মীর মুক্তি দাবী করেন।

কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্য করে তৈমুর বলেন, যারা বিএনপি ও জিয়া পরিবারের দু:সময়ে রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কেন্দ্র যদি তাদের পক্ষে কথা বলেন, আর যারা তৃনমূল পর্যায় থেকে মাঠে থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে তাদের বঞ্চিত করে তবে তৃনমূল কর্মীরা যে সিন্ধান্ত নিবে আমি তাদের পাশে থাকবো।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here