স্টাফ রিপোর্টার :: বনানীর ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
এদিকে এ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান শাফিক এদিন দুজন হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে আদালত পুলিশের এসআই আবদুল মান্নান জানিয়েছেন।
বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ নাঈম আশরাফকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যার আসল নাম হাসান মোহাম্মদ হালিম।
দুপুরে তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এমি।
এই রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে নাঈমের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে নাঈমকে ৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
এই ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু সাদমান শাফিককে গত ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার ৪ দিনের মাথায় ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অপর দুই আসামি সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী এবং গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনকে।
এরপর বুধবার রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে পুলিশ নাঈম আশরাফকে গ্রেপ্তার করে। চান্দেরবাজার এলাকায় দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের বাড়িতে তিনি লুকিয়ে ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।