সারাদিন কাজের ফাঁকে প্রায়ই চলে আসে ক্লান্তি। এই ক্লান্তি কাটানোর জন্য অনেকে অনেক পথ অবলম্বন করে। কেউ ঘন ঘন চা খায়, কেউ কাজের ফাঁকে নেয় ছোট ছোট বিরতি। কিন্তু দিনের শুরুতেই শুধু ডিম খেয়ে সেই ক্লান্তি আমাদের ওপর ভর করার আগেই তা কাটিয়ে নেওয়া যাবে। সম্প্রতি ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক এ তথ্য জানান। সূত্র :ওয়েবসাইট।

তাদের নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের সাদা অংশে এমন এক ধরনের প্রোটিন আছে, যা
আমাদের দিনভর সতেজ রাখে এবং ক্লান্তি ও তন্দ্রা দূরে রাখে। তাছাড়া আমাদের দিনভর সতেজ রাখার জন্য মস্তিষ্কে এক ধরনের সেল সব সময় সক্রিয় রাখে। এই সেলের নাম ‘ওরেক্সিন সেল’। গবেষকরা জানান, দিনভর একটানা কাজ এবং নানা দুশ্চিন্তার কারণে স্থির হয়ে যায় এই সেল। যার কারণে কাজের ফাঁকে কিংবা খাবারের পর ঘুম চলে আসে এবং ক্লান্তি দেহকে পেয়ে বসে। এই ক্লান্তি ?দূর করার সহজ একটি উপায় বের করতে এতদিন হন্যে হয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন একদল গবেষক। অবশেষে তারা সফল হন এবং তাদের প্রতিবেদনটি ১৭ নভেম্বর সায়েন্টিফিক জার্নাল ‘নিউরন’-এ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওরিক্সিন সেল শুধু ক্লান্তি এবং তন্দ্রাই নিয়ন্ত্রণ করে না, স্থূলতাও এর সঙ্গে জড়িত। এই সেলের সক্রিয়তা কমায় তন্দ্রা, ক্লান্তি এবং স্থূলতা। আর নিষ্ক্রিয়তায় বেড়ে যায় শরীরের ওজন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকরা অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলেন। তারা দেখতে চাচ্ছিলেন ক্লান্তি কমানো যায় কোন ধরনের খাদ্যে। পরে তারা বিভিন্ন খাদ্য নিয়ে গবেষণার পর দেখলেন, ডিমের সাদা অংশে এক ধরনের অ্যামিনো এসিড আছে, যা আমাদের দিনভর সতেজ এবং ক্লান্তিহীন রাখে। আমরা সারাদিন যেসব খাদ্য খেয়ে থাকি সেসব খাদ্যের গ্গ্নুকোজ ওই ওরিক্সন সেলে এক ধরনের ব্লকের তৈরি করে। কিন্তু অ্যামিনো এসিড গ্রহণ করলে গ্গ্নুকোজ আর ব্লক তৈরি করতে পারে না। তাই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটাতে কাজ থেকে ঘন ঘন বিরতি না নিয়ে একেবারে দিনের শুরুতেই নাশতায় ডিম খেয়ে নেওয়া যায়।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/ষ্টাফ রিপোর্ট

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here