টাকা পাঠানোর পর প্রেরকের (যিনি পাঠান) মুঠোফোনে একটি পিন নম্বর যায়, যা প্রেরক ছাড়া আর কেউ জানতে পারেন না। পিন নাম্বার মিলিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়। তবে কিছু পার্বত্য এলাকা ছাড়া সারা দেশই এই সেবার আওতায় রয়েছে।
ডাক বিভাগ বলছে, দেশের বাইরে বিভিন্ন মিশনে কর্মরত সব সেনাসদস্যের বেতন-ভাতা ইএমটিএসের মাধ্যমে তাঁদের পরিবার-পরিজনের কাছে সফলভাবে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফিও ইএমটিএসের মাধ্যমে আদায় করা হয়। এছাড়াও দুস্থ, বয়স্ক, রোহিঙ্গা ও ভাতা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের সুযোগ রয়েছে ইএমটিএসের মাধ্যমে।
ডাক বিভাগের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে গ্রাহকেরা ইএমটিএসের মাধ্যমে সাড়ে ৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন, যা পরের ২০১০-১১ অর্থবছরে বেড়ে হয় ৭১২ কোটি টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকা পাঠান গ্রাহকেরা। কিন্তু ২০১৩-১৪ অর্থবছরে তা কমে ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকায় নেমে আসে। পরের অর্থবছরগুলোতে এই লেনদেন কমতে থাকে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা মাত্র ১১৮ কোটি টাকায় নেমে যায়।
ডাক অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ইএমটিএসের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর খরচ এ রকম ৩ হাজার টাকার বিপরীতে ১৫ টাকা, ৫ হাজার টাকায় ২৫ টাকা, ৭ হাজারে ৩৫ টাকা, ১০ হাজারে ৫০ টাকা, ১৫ হাজারে ৭৫ টাকা, ২০ হাজারে ১০০ টাকা এবং এভাবে ৫০ হাজারে ২৫০ টাকা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, পুরো ডাক বিভাগকে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনার কাজ চলছে, যার মধ্যে ইএমটিএস সেবাটিও রয়েছে। সেবাটি আবার পূর্ণোদ্যমে ফিরে আসবে বলে আমরা আস্থা রাখি। বেসরকারি এমএফএসগুলোর দাপটে ইএমটিএস সেবাটি মার খেয়েছে। মানুষ এখনো কম খরচের সেবাটি গ্রহণ করতে পারেন। করলে তাঁদেরই লাভ হবে। এই সেবার মাধ্যমে মানুষের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।