ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::
বাঙালি বাদাম প্রিয় মানুষ।তাই বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ বাদাম খেতে ভালোবাসে।আমরা প্রায়ই অবসর সময়ে বাদাম খেয়ে থাকি। আর এটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার।
বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর বাদাম খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলেছে গবেষণায়। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— এটি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মতো সমস্যায় উপকার করে।
বাদামের উপকারিতা:
বাদামের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন। তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে।
- হাড়ের ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
- ব্রেনের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
- ক্যান্সার দূরে থাকে।
- পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
- ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- ব্লাড প্রেসার বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- কোষেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
নিয়মিত বাদাম খাওয়ার উপকারিতা:
1. ক্লান্তি দূর করে।
2. মস্তিষ্ক বা ব্রেইনের পাওয়ার বৃদ্ধি করে
3. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
4. কোলেস্টেরল কমায়।
5. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় রাখে এবং হৃদরোগ আক্রান্ত থেকে রক্ষা করে।
6. মনকে ভালো রাখে।
7. ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচায়।
8. ওজন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাদামের পুষ্টিগুণ:
অনন্য সব পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার ক্ষেত্রে বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে মজুত রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরও কত কী। যা নানাভাবে শরীরের কাজে লেগে থাকে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে- নিয়মিত কেউ যদি এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করেন, তাহলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের প্রবেশ ঘটে, যা মানব শরীরকে চাঙ্গা তো রাখেই, সেই সঙ্গে একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঁচা বাদামের উপকারিতা:
এদিকে কাঁচাবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর। বাদামের প্রোটিন দেহ গঠনে ও মাংসপেশী তৈরিতে সাহায্য করে। কাঁচা বাদাম কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ও হার্টের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, যা হাড় গঠনে সাহায্য করে। বাদামে রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা রক্তে লোহিতকণিকার কার্যক্রমে সহায়তা করে। বাদামের ভিটামিন ই এবং ক্যারোটিন ত্বক ও চুল সুন্দর রাখে। ত্বকে বলিরেখা বিলম্বিত করে।
বলা চলে কাঁচা ও ভাজা দুভাবেই বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কারণ দুভাবেই বাদাম খেলে তার পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। তবে যদি বাদাম কাঁচা অবস্থায় অথবা হালকা ভেজে খাওয়া যায়, তা হলে বাদামের পুষ্টি উপাদান একই থাকে। কিন্তু আবার অতিরিক্ত ভেজে বা তেল দিয়ে ভাজা হলে বাদামের পুষ্টিগুণ কিছুটা কমে যায়।
বাদামের অপকারিতা:
1.গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।
2. ওজন বাড়ায়।
3. অ্যালার্জির সমস্যা হয়।
4. ওষুধের কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হয়।