জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের ঈদ বাজারজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে লক্ষ্মীপুরের অভিজাত শপিংমল গুলো থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। নতুন পোশাক না হলে ঈদ আনন্দে যেন পূর্ণতা আসে না। ফলে ধনী-গরীব সকলেই সামর্র্থ্য অনুযায়ী নতুন জামা-কাপড় কিনতে ছুটে যাচ্ছে বিভিন্ন বিপণী বিতান গুলোতে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে দোকানে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে ঈদ বাজারের কেনাকাটা। বিশেষ করে মেয়েদের থ্রি-পিস, শাড়ি কাপড়, কসমেটিকস, ছেলেদের পাঞ্জাবি ও জুতার দোকান গুলোতে ক্রেতাদের বেশি ভিড় দেখা গেছে। ভিড় এড়াতে ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে অনেক অভিভাবক দিনের প্রথম ভাগেই ঈদের জামা-কাপড় কিনতে বেরিয়ে পড়েন বাজারে। কেনাকাটার প্রতিটি দোকানেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে।

স্থানীয় প্রায় প্রতিটি দোকান গুলোর চিত্র মোটামুটি একই। তাই ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের ঈদ বাজার। তবে অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন, বিক্রেতারা এবার বিভিন্ন জিনিসের দাম গতবারের চেয়ে বেশি নিচ্ছে। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, ভ্যাটের কারণে সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে জামা কাপড় কিনতে হচ্ছে। সেজন্য বেশি দামেই বিক্রি করছেন তারা।

লক্ষ্মীপুরে অভিজাত বিপণি বিতান গুলোর মধ্যে রয়েছে চকবাজার জামে মসজিদ মার্কেট, সিটি সেন্টারে অঙ্গশোভা, পৌর সুপার মার্কেট, আউট লুক, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, নগর বাজার, হকার্স মার্কেট, ডা. শাহআলম সুপার মার্কেট, তমিজ মার্কেট, পিংকি প্লাজাসহ বিভিন্ন বিপণি বিতান। রমজান মাস শুরুর আগ থেকে এইসব বিপণি বিতান গুলোতে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিপণি বিতান গুলোতে আয়োজন করা হয়েছে র‌্যাফেল ড্র।

বিক্রেতারা জানান, এবার ঈদের বাজার ভারতীয় পণ্যের পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া এবার তরুণীদের পোশাকের মধ্যে হুররাম ও বাহুবলী-২ এর ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। শাড়ির মধ্যে বেনারসী, কাতান, কাশ্মিরী সিল্ক, লেহেঙ্গা ও থ্রি-পিসের মধ্যে ভারতীয় লাসা, বিনয়, গাউন পাওয়া যাচ্ছে। ছেলেদের বিভিন্ন রকমের পাঞ্জাবিও পাওয়া যচ্ছে।

এ ছাড়া ঈদকে সামনে রেখে বিপণী বিতান গুলোতে দোকানীরা হরেক রকমের ডিজাইনের পোশাকের পসরা সাজিয়েছে। নানা ডিজাইনের নতুন-নতুন ঈদ পোশাক সাজিয়ে ক্রেতা অকর্ষণের প্রতিযোগিতা শুরু করেছে দোকানীরা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ক্রেতারা বিভিন্ন বিপণী বিতান ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দের পোশাক, জুতা, কসমেটিকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করছেন। বিপণী বিতানগুলো ছাড়াও ফুটপাতের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের কনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। প্রতি বছরেরর ন্যায় এ বছরেও কেনাকাটায় তরুনী ও গৃহবধূদের প্রাধান্যই বেশী।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সভাপতি এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু জানান, লক্ষ্মীপুরে নতুন-নতুন অনেক মার্কেট ও বিপণী বিতান হয়েছে। ক্রেতারা নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দ মতো ঈদের কেনাকাটা করতে পারছে। পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তা ছাড়া ঈদ বাজারে পণ্যের বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নাই।

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন জানান, বিশৃঙ্খলতা ছাড়া ক্রেতারা যেন নির্বিঘ্নে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের মার্কেট গুলোতে অতিরিক্ত টহল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here