আব্দুর রউফ হায়দার, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি :: নানা বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া হলো না তাদের। পথেই ভয়াবহ সড়ক দূঘর্টনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বোন, ছেলেসহ তার। আহত হয়ে স্বামী চিকিৎসারত রয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মোটর সাইকেল ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ভয়াবহ দূঘর্টনা হয়। ঘটনাটি ঘটে কিশোরগঞ্জ টু টেংগনমারী সড়কের নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন স্থানে।
বাবার বাড়ী কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডী ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামে দাওয়াত খেতে আসে রুমা আক্তার (২৬), স্বামী লিটন (৩২) ও ছেলে আঃ রাহিম (০৪)। বাবার বাড়ীতে দাওয়াত খেয়ে আজ রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রুমা তার স্বামী, সন্তান ও বোন আদুরী আক্তারসহ মটর সাইকেল যোগে নানা বাড়ী কালিকাপুর দাওয়া খেতে যাচ্ছিল।
অপরদিকে টেংগনমারীর দিক থেকে কুমিল্লাগামী উল্লাস পরিবহন কিশোরগঞ্জ বাজারের দিকে আসার সময় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মোটর সাইকেল ও বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই রুমা আক্তার (২৬), ছেলে আঃ রাহিম (৪) ও বোন আদুরী আক্তার (১৯) মারা যায়। মোটর সাইকেল চালক স্বামী লিটন (৩২) ছিটকে পড়ে আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত আছে। লিটনের বাড়ী রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রাম।
পুলিশ খবর পেয়ে বাসটি আটক করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মফিজুল ইসলাম জানান, দূঘর্টনার সময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। এসময় লিটন তার স্ত্রী, শালী ও ছেলেকে মটর সাইকেল যোগে নানা শ্বশুরের বাড়ি কালিকাপুর যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়।