কলাপাড়া : শ্রমজীবি নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মালামাল দিয়ে নির্মান হচ্ছে ইউপি সদস্যের বাসার পুকুরের ঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ক্ষমতার প্রভাবে হতদরিদ্র ২৫ শ্রমিকের কাজের মালামাল নিয়ে এসব নির্মান করলেও গ্রামবাসী ও শ্রমিকরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা।

জানাযায়, কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে নারী শ্রমজীবিদের কর্মের মাধ্যমে হাট-বাজার উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও ভিন্ন কাজে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে কলাপাড়ার কোস্টাল ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স ইনফ্রাস্টাকচারাল প্রজেক্ট’র (সিসিআরআইপি) আওতায় ২৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে দুটি টলসেট, অভ্যন্তরীন সড়ক নির্মান, টিউবওয়েল, টয়লেট ও ডাষ্টবিন নির্মান কাজ শুরু হয় গত মাসে। প্রকল্প শেষ না হলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম এ কাজের উপদেষ্টা হলেও তিনি প্রকল্পের সিমেন্ট নিয়ে নিজ বাসায় পুকুরের ঘাট করেছেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পাকা রাস্তা করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে ম্যানেজ করে তিনি হত দরিদ্রদের প্রকল্পের মালামাল আত্মসাত করেছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসীরা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করলেও মালামাল উদ্ধারে কোন উদ্যেগ নেয়া হয়নি।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সিসিআরআইপি প্রকল্পের সকল মালামাল কমিটির সভাপতি ও অন্য সদস্যদের ক্রয়ের কথা থাকলেও তদারকি কর্মকর্তা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান তাদের শুধু ব্লাঙ্ক চেকে সাক্ষর নিয়ে নিজে মালামাল ক্রয় করেন। এমনকি এখন পর্যন্ত কতো টাকার মাল ক্রয় করেছেন তারও হিসেব নেই তার কাছে। প্রকল্পের মালামাল ক্রয়ে তিনি মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছেন। এজন্য তিনি ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে গ্রাম উন্নয়ন কমিটির দুই গ্রামের সভাপতি শাহানাজ বেগম ও জহুরা বেগম ইউপি সদস্য সিমেন্ট নিয়েছেন বলে স্বীকার করলেও ঠিক কতো ব্যাগ সিমেন্ট নিয়েছেন তার হিসেব তাদের জানা নেই বলে জানান।

ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম তিন ব্যাগ সিমেন্ট নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন স্থানীয়দের জানিয়েই তিনি সিমেন্ট নিয়েছেন।

এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, ওই প্রকল্প থেকে কে সিমেন্ট নিয়েছে তা তিনি জানেন না। মালামাল ক্রয় থেকে টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করে বলেন মালামাল ক্রয়ের সব হিসেব তার কাছে আছে। তবে ব্লাঙ্ক চেকে সাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করেন।

মিলন কর্মকার রাজু/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here