এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করে বিপাকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসায়ান তানভিঃঃ এফবিআই প্রধান জেমস কোমির বরখাস্তকে কেন্দ্র করে আমেরিকার আভ্যন্তরীণ রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন।
অনেকেই বলছেন এটি ষড়যন্ত্রমূলক। এই সিদ্ধান্ত আমেরিকার গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। ট্রাম্প নিজেকে বাঁচাতে এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন।
এফবিআই প্রধান জেমস কোমি মূলত আলোচনায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়। নির্বাচনের কিছুদিন আগে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারির তদন্তের ঘোষণা দিয়ে ডেমোক্রেটদের বিরাগভাজন হন তিনি। পরবর্তীতে ট্রাম্পের বিজয় এবং হিলারির পরাজয়ের পিছনে সেই ঘটনা প্রভাব ফেলেছিল বলে অনেকেই মত দেন। হিলারি নিজেও পরাজয়ের অন্যতম কারন হিসেবে এফবিআই কর্তৃক ইমেইল কেলেঙ্কারির তদন্তের উদ্যোগকে দায়ী করেন।
কোমিকে বিবেচনা করা হতো ট্রাম্পের অনুগ্রহভাজন হিসেবেই। তাই এই আকস্মিক বরখাস্তের খবর সব মহলের জন্যই ছিল আশ্চর্যের।
আমেরিকার মূল ধারার মিডিয়া, যেগুলো মূলত ট্রাম্প বিরোধী, তাতে আলোচকরা বলছেন এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের কারন কোমির নতুন তদন্তের উদ্যোগ। এফবিআই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং ট্র্যাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন এর সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের বহুল আলোচিত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন তদন্তে ট্রাম্প অভিযুক্ত হতে পারেন এই আশংকায় তিনি এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন যাতে তদন্ত প্রভাবিত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবীসহ বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট কর্তৃক এফবিআই প্রধানের অপসারনের নিন্দা করেছেন। তারা এটিকে গনতান্ত্রিক সংস্কৃতির উপর আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন। বেশ কিছু সিনেটর এই আদেশের ব্যাপারে সিনেটে বক্তব্য রেখেছেন এবং এটা তদন্তের আওভান জানিয়েছেন।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here