সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার উত্তরের ৩টি ইউনিয়নের রোপা আমন ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণে ফসল ঘরে উঠার সম্ভাবনা না দেখে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস ঐ রোগ নির্ণয় করতে না পারায় কৃষকের রোপা আমন ধান বিনষ্ট হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলনবিল অধ্যূষিত তাড়াশ উপজেলার উঁচু অঞ্চলে এ বছর সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। মৌসুমের প্রথম থেকে ধানের ভালো ফলন পাবার আশায় রাসায়নিক সার ব্যবহার ও পরিচর্যা শুরু করেন। বিভিন্ন সময় রোগ বালাই দেখা দিলেই কৃষি বিভাগের লোকজনের শরণাপন্ন হতো এবং তাদের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় কীটনাশক প্রয়োগ করেছে। ক্ষেতে ধানগাছ হৃষ্টপুষ্ট দেখে ভালো ফলন পাবার আশায় বুক বেঁধেছিল কৃষক। কিন্তু ধানগাছ থোঁর হবার পর আর শীষ বের হতে না দেখে বুঝতে পারে, তাদের ক্ষেতের ফসল ঘরে উঠবে না। কৃষি অফিসে বারবার ধর্ণা দিয়েও কোনো সুফল না পাওয়ায় এখন কৃষক ফসলের আশায় ছেড়ে দিয়েছে। তালম, দেশীগ্রাম, মাধাইনগর ও বারুহাস ইউনিয়নের বিশাল এলাকার ক্ষেতখামারের নাজুক অবস্থায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তালম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্বাস আলী জানান, তার পরিবারের আবাদকৃত জমির মধ্যে ৭০ বিঘা জমিতে কাঁচি চলবে না। এ ইউনিয়নে তার মতো শতশত কৃষক একই অবস্থার শিকার। এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে জানান, মাটির অর্গানিক মেটারের কারণে ছত্রাক রোগটি দেখা দিয়েছে। তবে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে এলেই জানা যাবে প্রকৃত রোগটি কি?

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/সুজন সরকার/সিরাজগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here