মোঃ আঃ রহিম রেজা, ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::
ঝালকাঠির রাজাপুরের কৈবর্তখালি গ্রামের আলহাজ্ব মুনসুর আলী দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার পদের নিয়োগে ৮ লাখ টাকার ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই পদে আবেদনকারী জাহিদ হাসান নামে এক প্রার্থী জেলা প্রশাসক ও জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, আলহাজ্ব মুনসুর আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপারের পদ খালি থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মেহরুবা মনা ৮ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের মাধ্যমে যোগ্যতা বিহীন ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে নিয়োগের পায়তারা করিতেছে। সহকারী মৌলভী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারের শিক্ষাগত যোগ্যতা দাখিল-৩য় বিভাগ, আলিম ৩য় বিভাগ, ফাজিল ২য় বিভাগ ও কামিল ২য় বিভাগ।
সহকারী সুপার পদে সচ্ছতা নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ না দিয়ে হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে নিয়োগের অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করে নিয়োগের প্রস্ততিসহ আনুসাংগিক ব্যবস্থা করেছেন। তার মাদ্রাসা পরিচালনার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানে অযোগ্য লোককে নিয়োগ দেয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার অপুরনীয় ক্ষতি হবে। ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় অযোগ্য মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে যাহাতে নিয়োগ না দিয়ে যোগ্য ও সচ্ছতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয় অভিযোগে।
ইতোপূর্বেও একই প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা কর্মী পদে মোঃ মানির হোসেরে কাছ থেকেও ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে
নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে, যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। ঘুষ দেয়ার অভিযোগ সহকারী মৌলভী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদার অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সভাপতি মেহরুবা মনা জানান, মাদ্রাসায় কোন রকম কোন নিয়োগ বানিজ্য হয় না। এর আগের নিয়োগগুলো সচ্ছতার ভিত্তিতে হয়েছে, নিয়োগ খরচও নিজেরা দিয়েছি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা গুজব ও ভিত্তিহীন। নিয়ম অনুযায়ী সচ্ছতার ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ সংশিষ্টরা যাকে যোগ্য মনে করবে তাকে নিয়োগ দিবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম জানান, ওই মাদ্রাসার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, যাচাই বাছাই চলছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।