নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন- কমিশন নিরপেক্ষ আছে, আপনারাও নিরপেক্ষ থাকুন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাঁদের নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে। অন্যথায় কমিশন তাঁর ক্ষমতার প্রয়োগ করে সরকারী কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবে। নির্বাচনী কাজে সরকারী কর্মকর্তাদের বদনামের দায়ভার নির্বাচন কমিশন বহন করবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সকালে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নারায়নগঞ্জের নির্বাচনের পর আমরা বলেছি, আর কোনো নির্বাচন করবো না। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতার কারণে কমিশন নির্বাচন করছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাস পর আমরা চলে যাবো। কানো বদনাম নিয়ে আমরা যেতে চাই না। দেশের ক্ষুদ্রতম এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যারা তিনি বলেন-মনে সন্দেহ থাকলে আজকের সভায় বলেন। আমরা আপনাকে রাখব না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে কমিশন এক চুল পরিমাণ ডানে বামে যাবে না। আমরা সোজা রাস্তায় আছি। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল আহসান’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোঃ মোখলেছুর রহমান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের রিটানিং অফিসার কর্মকর্তা ও কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আবদুল বাতেন, কুমিল্লা ৩৩ ব্যাটালিয়নের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এ সময় ঢাকা ও কুমিল্লার ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/নেকবর হোসেন/কুমিল্লা