গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ::

সকাল থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা হিলি। একদিকে ঘনকুয়াশা অন্যদিকে প্রচন্ড শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিবাসী। গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও সন্ধার পর থেকে আবারও ঘনকুয়াশার সাথে তীব্র শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা। কুয়াশার কারণে ট্রেন, বাস, অটোবাইকগুলোকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলো বিলম্বে চলাচল করছে। তাইশীত উপেক্ষা করেই যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ট্রেনের জন্য। ঠান্ডার কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। বেশি দূর্ভোগে আছেন ছিন্নমুলসহ
খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করেই তাদের ছুটতে হচ্ছে কর্মস্থলে। এদিকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নিন্মআয়ের অসহায় মানুষেরা।

হিলি সিপি রোর্ডে বসা কামার কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে আমি দুই ধরে দোকানে খুলতে পারিনি। ঠান্ডা বাতাস আর ঘণকুয়াশা মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে। তাই আমাদেরও কাজ কাম কমে গেছে। আজ সকালে আসার সময় কুয়াশায় রাস্তা- ঘাট কিছু দেখা যাচ্ছেনা। আজ সকাল থেকে ২০০ শত টাকা কাজ করছি।

হিলি চাতাল শ্রমিক আবু বক্কর বলেন,টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘণকুয়াশায় আর ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহজুড়ে সূর্যের দেখা নেই। সোমবার ও মঙ্গলবার সূর্যের দেখা মিললও তেমন তাপ নেই। আমি চাতালে কাজ করি। কিন্ত রোদ না থাকায় বসে আছি। ধানশুকাতে না পারলে আমাদেরও আয় রোজগার হয় না। ধানশুকাতে পারলে ৪ থেকে ৫ শত টাকা মজুরি পাই।রোদ না থাকায় সেই ইনকামও বন্ধ। পরিবারপরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। আমরা দিন আনে দিন খাই।

হিলি রেলস্টেশনে একটি গাছের নিচে বসা এক বৃদ্ধা মা বলেন,আমি ট্রেন ধরার জন্য বসে রয়েছি। শীতের কারণে ট্রেন আসতে দেরি করছে তাই এই গাছের নিচে বসে রয়েছে। খুব ঠান্ডা পড়ছে। এত শীত আগে কখনো দেখিনি। দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,আজ হিলিতে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ১০০ শতাংশ।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here