খুলনা জেলার ডুমুরিয়ার শোভনা যৌথবাহিনী ক্যাম্পের হাবিলদার মহাসিন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সীমাহীন দৌরাত্নে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায় উপজেলার শোভনা যৌথবাহিনী ক্যাম্পে হাবিলদার মহাসিন যোগদানের পর এলাকার কতিপয় সোর্স নিয়োগ করে ব্যাপক হারে সাধারন মানুষকে মিথ্যাভাবে হয়রানি শুরু করে দেয়। কোন অভিযোগ ছাড়াই নিরীহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ একাধিক ব্যক্তির। শোভনা ইউনিয়নের জিয়ালতলা গ্রামের মৃন্ময় জোয়াদ্দারের ঘের থেকে জোর করে মাছ নেয়। একই গ্রামের শংকর সরদার ওরফে চেরুর স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় স্বামীর অনুপস্থিতিতে কুপ্রস্তাব ও উত্যক্ত করে থাকে বলে ঐ মহিলা অভিযোগ করে বলেন। শোভনা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম রাস্তার পার্শ্বে একটি তাল গাছ বিক্রয়ের অপবাদ দিয়ে জৈনক এক ব্যাপারির কাছ থেকে এক হাজার টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া এলাকার কতিপয় মাদকাসক্ত বখাটে যুবকের সাথে নেশার আড্ডায় ও তাকে দেখা যায়। ক্যাম্পের আশ পাশ এলাকার অনেকের বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে মহিলাদের সাথে খোশ গল্পে লিপ্ত থাকে দিনের অধিকাংশ সময়। স্থানীয় সালিশ মিটিং এর জরিমানার টাকার ও ভাগ নিয়ে থাকে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়। তার এ অপকর্মের কথা পত্রিকায় একাধিকবার ছাপা হলে এক বার বদলির আদেশ হলেও অদৃশ্য কারনে সে এখনো বহাল তবিয়াতে ঐ ক্যাম্পে চাকুরীরত রয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানায় ক্যাম্পে একজন দায়িত্বরত ইনচার্জ থাকা সত্বেও হাবিলদার মহাসিন নিজেকে ক্যাস্প ইনচার্জ পরিচয় দিয়ে এলাকায় বীর দর্পে ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়া দিনের অধিকাংশ সময় ক্যাম্প ইনচার্জের অনুমতি ছাড়া সিভিল পোশাকে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে দেখা যায়। তার এ চলা ফেরায় এলাকাবাসি অতিষ্ট হয়ে গেছে। এ প্রসংগে শোভনা যৌথবাহীনির ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই সাজদার রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের সিসি ছাড়া বাইরে যাবার কোন নিয়ম নেই, যদি কেউ এধরনে কাজ করে থাকে সেটা আইন বহিঃভূত। অপর দিকে হাবিলদার মহাসিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমাত্র।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শিমুল খান/খুলনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here