াুি পাস্টাফ রিপোর্টার :: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আণবিক চুল্লির প্রথম ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধনের আট মাসের মাথায় দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে ডিজিটাল বোতাম চেপে এবং সিমেন্টের ঢালাই দিয়ে কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। রুশ ফেডারেশনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইউরি ইভানোভিচ বোরিসভ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হেলিপ্যাডে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বেলা ৩টায় পাবনা পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেললাইনে নতুন ট্রেন উদ্বোধনসহ ৪৯ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা আশা করেছেন, ২০২২ সালে রূপপুর প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকিত হবে বাংলাদেশ। সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতাধীন পাঁচ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় বা শেষ পর্যায়ের কাজও শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার বিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনার ‘রি-অ্যাক্টর বিল্ডিং (উৎপাদন কেন্দ্র)’ নির্মাণ কাজের দ্বিতীয় পর্যায়ের ঢালাই কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে তিনি ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান সমকালকে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির সার্বিক কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, রি-অ্যাক্টর বসানোর কাজ শেষ হলে ২০২২ সালে প্রথমে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট এবং তার পরের বছর আরও এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে।

প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকায় এ প্রকল্পে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো শঙ্কা নেই। যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটেও, তবে তাতে কোনো ক্ষতি হবে না। দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে গেলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্তের রেকর্ড অর্জনে সক্ষম হবে।

প্রকল্পের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইউরিক মিখাইল খোসলেভ জানান, এ প্রকল্পের জন্য থ্রি প্লাস রি-অ্যাক্টর বসবে। যেটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও আধুনিক প্রযুক্তি, যা শুধু রাশিয়ার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে রয়েছে। আর বাংলাদেশের রূপপুরেই হবে এর দ্বিতীয় ব্যবহার।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here