নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কামসাইর গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিদের ৫৮ শতাংশ জমি মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জাল দলিলের মাধ্যমে আত্মসাতের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা ভূমিমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে বুধবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, উপজেলার কামসাইর গ্রামের আহাদ বক্সের মেয়ে অহিতুন নেছার মৃত্যুর আড়াই বছর পর তার দুই মেয়ে তৈয়ব বানু ও সোহানা বানু একটি প্রতারক চক্রের মাধ্যমে হেবানামা জাল দলিল সম্পাদন করে। ওই জাল দলিলের মাধ্যমে অহিতুন নেছার ৩ ভাই আওলাদ হোসেন ছিদ্দিক মিয়া, মাওলান মিয়া ও মোহাম্মদ আলীর ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করে আসছে। প্রতারকচক্রটি একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করারও পায়তারা করছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০০৭ সালের ৮ আগষ্ট অহিতুন নেছা মৃত্যুবরণ করেন। ২০১০ সালের ২ মার্চ একটি ভূয়া হেবানামা দলিল তৈরি করে জমি বিক্রির পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে বুধবার মোহাম্মদ আলী বাদি ভাগনী সোহানা ও তৈয়ব বানুকে আসামী করে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। এদিকে একই ঘটনায় ভূমিমন্ত্রণালয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার ও উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অহিতুন নেছার মেয়ে অভিযুক্ত তৈয়ব বানু ও সোহানা বানু জানান, মায়ের মৃত্যুর আগেই আমাদের নামে জমি লিখে দেওয়া হয়েছে। মামা আওলাদ হোসেন, মাওলান মিয়া ও মোহাম্মদ আলী জমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে হেবানামা দলিল সম্পাদন করা হয়।
রূপগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রেজ্জাক জানান, একটি চক্র প্রায়শই ভুয়া মালিক সাজিয়ে দলিল সম্পাদন করে আসছে। কেউ অভিযোগ করলে জানা যায় সম্পাদিত দলিলদাতা সাজানো ছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রূপগঞ্জে জাল দলিল তৈরির একটি চক্র কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে জমি আত্মসাৎ করেছে বলে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিষয়টি তদনত্ম সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/মাকসুদুর রহমান কামাল/নারায়ণগঞ্জ