রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের ৮ সমর্থক অপহরনের পর ছেড়ে দেয়ার খবর নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে অপহরণের দাবী করা হলেও প্রশাসনের কেউই এ খবরের সত্যতা নিশ্চত করতে পারেনি। সন্ধ্যা ৬টায় অপহনরে খবর পাওয়া গেলেও সাড়ে ৭টায় ছেড়ে দেয়ার খবর পাওয়া যায়। কিন’ এর কোনটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন। এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের নেতাদের কাছ থেকেও ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ইউপিডিএফ নেতা এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা টেলিফোনে রাঙামাটির সাংবাদিকদের এ অপহরণের খবর জানান। তিনি অভিযোগ করেন, শুক্রবার বরকল উপজেলার সুভলং ইউনিয়নের নারাইছড়ি গ্রাম থেকে ইউপিডিএফ সমর্থক আট গ্রামবাসীকে সন’ লারমা সমর্থিত জেএসএস সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে গেছে। অপহৃতরা হলেন, কালাচান চাকমা (৪২), কিরণ চাকমা (২৮), চিত্রসেন চাকমা(৪৫), ফুলেশ্বর চাকমা(৪৫), নিরতিলাল চাকমা (৪৭), পদ্মলাল চাকমা (৪৭), রিপন চাকমা (২৫) ও জ্ঞানরঞ্জন চাকমা (৩৫)। ইউপিডিএফ এই অপহরণের জন্য জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করলেও জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা অপহরণ ঘটনার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, এটি ইউপিডিএফের মিথ্যা ও মনগড়া অপপ্রচার। এদিকে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলার নেতা অলকেশ চাকমা জানান, তিনি বিশেষ একটি সংস’া থেকে অপহরেনের কথা শুনেছেন এবং আবার তাদের ছেড়ে দেয়ার কথাও শুনেছেন।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মাসুদ উল হাসান অপহরণের কোন খবর পুলিশ পায়নি জানিয়ে বলেন-এইসব ক্ষেত্রে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ না করলে বাস-ব সত্য জানা বেশ কঠিন। তবে ওই এলাকায় দু’দিন আগেও আরো দু’জন ব্যক্তি অপহৃত হওয়ার কথা শুনেছিলেন বলে জানান তিনি। আর যে এলাকা থেকে অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, সেটি ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকা বলে মন-ব্য করেন তিনি।
রাত সাড়ে ১০টায় তিনি আমারদেশকে বলেন, অপহরনের কোন খবর পায়নি তবে শুনেছি তাদের মধ্যে মিমাংসা হয়ে যাওয়ায় অহৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন পার্বত্য এলাকায় কখন কে কি বলে এর ঠিক নেই।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আলমগীর মানিক/রাঙ্গামাটি

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here